বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ এ অঞ্চলে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণ পরিষদের চলমান ৭৬তম অধিবেশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এই ঘোষণা দেন। এ নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ১৫০ কোটি ডলার ছাড়াল।   

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক নিধন অভিযানের মুখে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দেশটির রাখাইন রাজ্যের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ বা দশ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওই বর্বর হামলাকে ‘জাতিগত নিধন অভিযান’ হিসেবে নথিভূক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত চার বছর ধরে রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এই নিধন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য যে ১৫০ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে, এর মধ্যে ১২০ কোটি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য।   

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং দেশটির সরকার তাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে, তা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এই সংকট (রোহিঙ্গা সংকট) মোকাবিলা ও সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেই।’

রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার সবার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতিতে অটল জানিয়ে নেড প্রাইস আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য যেসব দেশে মানবিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে বার্মার (মিয়ানমারের আদিনাম) শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, সেসব দেশের প্রতি আমরা আমাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।’ 

এএস