কানাডার টরেন্টো জেনারেল হাসপাতালের সামনে করোনা টিকা বিরোধী বিক্ষোভ করছেন কিছু মানুষ

‘অনুমতি না নিয়ে’ স্ত্রীকে করোনা টিকা দেওয়ায় এক নারী নার্সের ওপর চড়াও হয়েছেন স্বামী। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নার্সের মুখে ঘুষি মারেন। এতে আহত হন ওই নার্স। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খোঁজা হচ্ছে বলে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার কুইবেক প্রদেশে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

পুলিশের মুখপাত্র মার্টিন ক্যারিয়ার টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, গত সোমবার সকালে কুইবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর মন্ট্রিল থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত শেরব্রোক শহরে একটি ফার্মেসি দফতরে (টিকাদান কেন্দ্রে) এই ঘটনা ঘটে। সেখানে ওই নারী নার্স টিকা প্রয়োগের কাজ করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সোমবার সকালে ওই অফিসে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি চিৎকার শুরু করেন।’

মার্টিন ক্যারিয়ার জানান, তার (স্বামী) অনুমতি ছাড়া স্ত্রীকে টিকা দেওয়ায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সেখানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। একপর্যায়ে চিৎকার-চেচামেচির মাঝেই তার স্ত্রীকে টিকা দেওয়া নার্সের মুখে ঘুষি মারেন তিনি।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি করোনা টিকার বিরোধী কি না কিংবা তার স্ত্রী ঠিক ওই ফার্মেসিতেই টিকা নিয়েছিলেন কি না; সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন। মহামারির বিরুদ্ধে চলমান এই দীর্ঘ লড়াইয়েও তারা তাদের এই দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করছেন। এরপরও দায়িত্বপালনে বিশ্বব্যাপী নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।

রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার সদ্য সমাপ্ত ফেডারেল নির্বাচনের সময় দেশজুড়ে করোনা টিকার বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এমনকি অনেক বিক্ষোভকারী সেসময় স্কুলগুলোতেও হামলা চালায়।

বিক্ষোভকারীদের এমন কর্মকাণ্ড দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নজরেও এসেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার মতো ঘটনা দমনের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি।

এদিকে স্কুল ও হাসপাতালের পাশে ভ্যাকসিন বিরোধী বিক্ষোভ বন্ধ করতে বুধবার নতুন আইন পাস করার কথা জানিয়েছেন কুইবেক প্রদেশের প্রধান ফ্রানয়িস লেগাল্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আইনটি পাস হতে পারে।

বুধবার তিনি বলেন, ‘আমার সহ্যের সীমা শেষ হয়ে গেছে। আমি মনে করি আমাদের শিশু ও রোগীদের শান্তিতে রাখাটা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

টিএম