১৭ বছর পর বিবাহিত জীবনের ইতি টেনে স্বামীর কাছ থেকে ‘চূড়ান্তভাবে’ মুক্ত হয়েছেন এক নারী। আর এতে তিনি খুবই খুশি। ১৭ বছর পর বিচ্ছেদের আনন্দে এতোটাই উচ্ছ্বসিত যে, বিয়ে থেকে মুক্তির আনন্দে বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ডিভোর্স পার্টির আয়োজন করেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর।

আরও পড়ুন : এসির বাজারে ধস নামাবে, এমন রং আবিষ্কার

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বামীর কাছ থেকে মুক্তির আনন্দে ডিভোর্স পার্টির আয়োজন করা ডিভোর্সি ওই নারীর নাম সোনিয়া গুপ্ত। বিবাহিত জীবন থেকে মুক্তি ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর ডিভোর্স সম্পন্ন হওয়ায় বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ওই পার্টির আয়োজন করে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী। ডিভোর্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় তিন বছর সময় লেগে যায় বলে জানিয়েছে মিরর।

বিশ্বব্যাপী বিয়ে ও সংশ্লিষ্ট আয়োজনে অনেক পার্টির আয়োজন হয়। আনন্দ উদযাপনে সেখানে সবাই রঙিন পোশাক পরে থাকেন। কিন্তু ডিভোর্সের পার্টিতে সোনিয়া গুপ্ত পরেছেন রঙিন জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, দুই সন্তানের জননী সোনিয়া ঝলমলে রঙিন পোশাকের ওপর লিখেছেন ‘ফাইনালি ডিভোর্স।’

আরও পড়ুন : যে ছবিতে সবার হৃদয় জিতেছেন এক পুলিশ সদস্য

এমনকি পার্টিতে অংশ নেওয়া অতিথিদেরও ঝলমলে ও উজ্জ্বল পোশাক পরে আসতে অনুরোধ করেছিলেন সোনিয়া।

নিজের ব্যক্তিত্বের আঙ্গিকেই পার্টির থিম ঠিক করেছিলেন সোনিয়া। তিনি নিজেকে একজন খোলামনের মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু তার স্বামী ছিলেন পুরোপুরি তার বিপরীত। বিয়ের শুরু থেকেই ভীষণ মনমরা থাকতেন সোনিয়া। তিনি জানতেন তাদের দু’জনের জুটি একদম মানায় না।

২০০৩ সালে ভারতে বিয়ে হয় সোনিয়ায়। বিয়ের পরই তিনি উপলব্ধি করেন, তার বিবাহিত জীবন সুখের নয়। এরপর বহু বছর ধরে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টাও করেন তিনি। অবশেষে চূড়ান্ত বিচ্ছেদের পথেই হেঁটেছেন সোনিয়া। বিয়ের পর নিজের ব্যক্তিত্বও নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সোনিয়া বলেন, ‘আমরা ভারতে বিয়ে করেছিলাম। পরে আমরা যুক্তরাজ্যে চলে আসি। আমি বছরের পর বছর ধরে অসুখী ছিলাম।’

আরও পড়ুন : অনলাইন থেকে শুক্রাণু কিনে ‘ই-বেবি’র জন্ম দিলেন নারী

২০১৮ সালে ডিভোর্স প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা শেষ হতে ৩ বছর লেগে যায়। আর দীর্ঘ এই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্তভাবে মুক্তি পেয়ে সোনিয়া গুপ্ত অনেক খুশি। বিচ্ছেদের আনন্দে আয়োজিত ডিভোর্স পার্টির অনুষ্ঠান দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে।

টিএম