৪৩ বছর আগে কেনা শেয়ারের দাম উঠল ১৪৪৮ কোটি টাকা
৪৩ বছর আগে এক সংস্থার সাড়ে তিন হাজার শেয়ার কিনেছিলেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কোচির বাসিন্দা বাবু জর্জ ভালাভি নামের এক ব্যক্তি। সেই শেয়ারের বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। তবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে ওই সংস্থা অস্বীকার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস। এদিকে জর্জ ভালাভি জানিয়েছেন, হিসেব অনুযায়ী ওই সংস্থার ২ দশমিক ৮ শতাংশ অংশীদারিত্ব এখন তারই হাতে। কিন্তু এরপরও এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে ওই সংস্থা অস্বীকার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : এসির বাজারে ধস নামাবে, এমন রং আবিষ্কার
বাবু জর্জ ভালাভির দাবি, ৪৩ বছর আগে তিনি ও তার চার আত্মীয় মিলে মেবার অয়েল অ্যান্ড জেনারেল মিলস লিমিটেড’র সাড়ে তিন হাজার শেয়ার কিনেছিলেন। বাবু তার পুরনো কাগজপত্র ঘেঁটে দেখার সময় তার বিনিয়োগের বেশ কিছু কাগজ খুঁজে পান।
উদয়পুরের ওই সংস্থা থেকে কেনা শেয়ারের নথি নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। তখনই জানতে পারেন- তিনি যে শেয়ার কিনেছিলেন, তার বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকায়। তবে ওই ব্যক্তি যখন শেয়ার কিনেছিলেন সেই সময় উদয়পুরের ওই সংস্থা শেয়ার বাজারের নথিভুক্ত সংস্থা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সংস্থার নাম বদলে পিআই ইন্ডাস্ট্রিজ হয়েছে। একইসঙ্গে সেটা শেয়ার বাজারের নথিভুক্ত সংস্থার তালিকাতেও ঢুকেছে।
আরও পড়ুন : মাঝ সমুদ্রে চার দিন ধরে দুই সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে মৃত্যু মায়ের
২০১৫ সালে বাবুর ছেলে শেয়ারের কাগজপত্র দেখে উপায় খুঁজে বের করতে নথি নিয়ে শেয়ারের এক এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই এজেন্ট সংশ্লিষ্ট ওই সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
বাবু জর্জ ভালাভিসহ অন্যরা ওই সংস্থায় যোগাযোগ করলে তাদের বলা হয়, ওই শেয়ার ১৯৮৯ সালে অন্য ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কথা শুনে তারা স্তম্ভিত হয়ে যান। আসল নথি তার কাছে অথচ সেই শেয়ার হস্তান্তর হয়ে গেল কীভাবে!
আরও পড়ুন : অনলাইন থেকে শুক্রাণু কিনে ‘ই-বেবি’র জন্ম দিলেন নারী
বাবুর অভিযোগ, অবৈধ ভাবে তার শেয়ার অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে পিআই ইন্ডাস্ট্রিজ।
ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, ১৯৭৮ সালে মেবার অয়েল অ্যান্ড জেনারেল মিলস লিমিটেড’র সাড়ে তিন হাজার শেয়ার কিনেছিলেন জর্জ ভালাভি। কিন্তু এর ৪৩ বছর পরে এসে তিনি ও তার পরিবার যে ওই শেয়ারের বৈধ মালিক তা প্রমাণের চেষ্টায় কার্যত সংগ্রাম করছেন ৭৪ বছর বয়সী জর্জ।
টিএম