সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন বিহারের খাগাড়িয়া জেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত দাস। কোথা থেকে এ টাকা এলো তার হিসাব মিলাতে পারছিলেন না তিনি।

একপর্যায়ে তার মনে পড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা। তিনি (নরেন্দ্র মোদি) তাকে ১৫ লাখ টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। রঞ্জিত দাস ভেবেছিলেন মোদি হয়ত কিস্তিতে তাকে টাকা দিচ্ছেন। তাই মনের সুখে খরচ করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে পুরো টাকাই শেষ করে ফেলেন রঞ্জিত।

তবে মূল ঘটনাটি সম্পূর্ণই ভিন্ন। খাগাড়িয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মীর ভুলে রঞ্জিতের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য তা ধরা পড়েনি। বেশ কয়েক দিন পর হিসেব মেলাতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে। টাকা ফেরত চেয়ে রঞ্জিতকে একের পর এক নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু সে সবে পাত্তাই দেননি রঞ্জিত, পাল্টা জবাবে ব্যাংককে জানিয়ে দেন, ‘ওই টাকা খরচ করে ফেলেছি।’

শেষমেশ বাধ্য হয়েই মানসি থানায় রঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে গ্রামীণ ব্যাংক। তার ভিত্তিতেই রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমি তো ভাবলাম, মোদিজি যে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা তার প্রথম কিস্তির অর্থ। আমি তো সব টাকা খরচ করে ফেলেছি। আমার কাছে আর কোনো টাকা নেই।’

ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিহারের পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মানসি থানার স্টেশন অফিসার।

এসকেডি