গোলাগুলিতে মোল্লা বারাদারের মৃত্যুর গুজব, যা বলল তালেবান
আফগানিস্তানের নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও তালেবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা মোল্লা বারাদারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে যে গুজব ছড়িয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির এই শাসকগোষ্ঠী। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন এক টুইট বার্তায় বারাদারের মৃত্যুর খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তড়িৎ গতির অভিযানের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে গত ১৫ আগস্ট কাবুলের দখল নেওয়ার পর তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মোল্লা বারাদারের মৃত্যুর গুজব সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সাবেক প্রধান, গত সপ্তাহে ঘোষিত আফগানিস্তানের নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এক ভয়েস ম্যাসেজে সংঘর্ষে তার মৃত্যু অথবা আহত হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শাহিন বলেন, ‘তিনি বলেছেন, এটি মিথ্যা এবং পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’ তালেবান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কান্দাহার শহরে এক বৈঠকের ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বারাদারকেও অংশ নিতে দেখা যায়। তবে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আফগানিস্তানের চরমপন্থী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সমর্থকদের সঙ্গে মোল্লা বারাদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে গত কয়েকদিন ধরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া ঘাঁটিগুলো থেকে আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলাকালীন ভয়াবহ কিছু আত্মঘাতী হামলার জন্য হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করা হয়।
হাক্কানির মতো সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে দোহার রাজনৈতিক দপ্তরভিত্তিক বারাদারের মতো নেতাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনা ঘিরে ওই গুজব ছড়িয়েছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে মোল্লা বারাদার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে গুঞ্জন বারবার অস্বীকার করেছে তালেবান।
রয়টার্স বলছে, মোল্লা বারাদারকে এক সময় তালেবানের সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে দেখা হলেও গত কিছুদিন ধরে আড়ালে আছেন তিনি। গত রোববার কাবুলে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে আফগানিস্তানের মন্ত্রিসভার যে প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন, সেই দলেও ছিলেন না বারাদার।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করার পর তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকেও জনসম্মুখে দেখা যায়নি। তবে গত সপ্তাহে দেশটিতে তালেবানের নতুন সরকার গঠন করার পর একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর ২০১৫ সালে স্বীকার করে এই গোষ্ঠী। যে কারণে মোল্লা বারাদারের মৃত্যুর ব্যাপারে নানা ধরনের জল্পনা ছড়াচ্ছে।
এসএস