যুক্তরাষ্ট্রে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে দেশটির ওপর ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার (৯/১১ নামে পরিচিত) ২০তম বার্ষিকী। ভয়াবহ ওই হামলায় নিহতদের স্মরণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও সাবেক প্রেসিডেন্টরাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্বনেতাদের অনেকে ওই দিনটি স্মরণ করে বার্তা দিয়েছেন।

যার আমলে এই হামলা হয়েছিল সেই প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সে সময় তারা যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন সেটা বর্ণনা করা কঠিন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের দুঃখ বুঝি এবং আমরা তাদের সম্মান জানাতে চাই যাদেরকে আপনারা দীর্ঘদিন ভালোবেসে যাচ্ছেন।  

যেসব কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ ৯/১১ এর আগে যাদের জন্ম বা বোধদয় হয়নি দিনটিকে স্মরণ করছেন তাদের উদ্দেশে বুশ বলেন, ‘তখন আমাদেরকে যে আমরা যে অভিজ্ঞতা ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে সেই মিশ্র অনুভূতি বর্ণনা করা খুব কঠিন। শয়তানদের অদম্যতার অভিঘাত এবং বীরত্ব ও যথাযথ আচরণ ভয়াবহ এই হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ এই হত্যাযজ্ঞ ও বিপদসংকেত নিয়ে গোটা বিশ্ব উচ্চকিত হলেও আচমকা অনেকের মুখের আওয়াজ থেমে যায়। যাদের কথা আর কখনো শোনা যাবে না।’ ৯/১১ এর হামলার পর আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ শুরুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি স্বীকার করেন, ওই দুই দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।       

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের শুরু করা ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ যেসব সামরিক সদস্য সরাসরি অংশ নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বের কারণে আপনি লড়াই করেছেন আমেরিকার পক্ষে দেওয়া সেটাই সবচেয়ে মহৎ কাজ। এরপর কিছুই আপনাদের মহত্বকে ছোট করতে পারবে না।  

ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে ২০০১ সালে আল-কায়েদার চালানো এই হামলায় নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনের পেন্টাগন আক্রান্ত হয়। আরেকটি বিমান কোথাও আঘাত হানার আগেই বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত হন প্রায় তিন হাজার লোক। এরপর আফগানিস্তানে সেনা পাঠান জর্জ বুশ।

এএস