করোনাভাইরাস পরিস্থিতি
শনাক্ত-মৃত্যুতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বে আরও ৯ হাজার মৃত্যু
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ৩৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ১৯ হাজার।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৩০৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩৮১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৯২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৭১১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৫ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮৯৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫১৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৮৭৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৭৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ১৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৪২০ জনের।
প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে রাশিয়ার নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৯৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৬ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৯০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪৭ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৯১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০৫ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৪৮ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার ৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩৫ জন মারা গেছেন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৭২ জন, ইতালিতে ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৪১ জন, তুরস্কে ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ৪১৪ জন, স্পেনে ৪৯ লাখ ৩ হাজার ২১ জন এবং জার্মানিতে ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ৩৬২ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৭৬৬ জন, তুরস্কে ৫৯ হাজার ১৭০ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ২১৮ জন এবং জার্মানিতে ৯৩ হাজার ৪০ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
টিএম/জেএস