ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৬৬ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত জুলাইয়ে পরিচালিত এক সেরো জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

এই জরিপের ফল প্রকাশের পর দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাকিরাও আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন।

ভারতের টিকাদান বিষয়ক ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (এনটিএজিআই) কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান এন কে অরোরা বলেছেন, অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ মানুষ যেকোনো সময় করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এখনও যদি তারা টিকা না নেন, তাহলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের।

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে গড়ে দৈনিক ৩০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে; যাদের বেশিরভাগই কেরালা, পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্রের কিছু জেলা এবং দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের।

অরোরা বলেন, গত জুন, জুলাই এবং আগস্টে ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে নতুন করে কোনও ধরন শনাক্ত হয়নি।

এনটিএজিআইয়ের এই কর্মকর্তার মতে, কোভিড-১৯ এর বেশিরভাগ টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত কার্যকর নয়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ টিকা নেওয়ার পরও করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারেন বলে বারবার জোর দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে এখনও করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

দেশটির শীর্ষ এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে এটি কোভিডে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করতে কার্যকর।

বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ২৬৩ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮১ জনে।

অন্যদিকে, বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৩৩৮ জন। অর্থাৎ গত এক দিনে মৃত্যু কমেছে ৩১ জনের। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ জন।

এসএস