আফগানিস্তানে সড়কযোগে ত্রাণ পাঠাতে চায় জাতিসংঘ
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর মাধ্যমে সড়কযোগে দেশটিতে ত্রাণ পাঠাতে চায় জাতিসংঘ। তবে এক্ষেত্রে ত্রাণ পরিবহন ও বিতরণের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সে এই তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ও জরুরি ত্রাণ সরবরাহ বিভাগের সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথ।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় মার্টিন গ্রিফিথ বলেন, ‘মানবিক সহায়তাকর্মীদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। পাশপাশি, বিশেষ করে আফগানিস্তানে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক।’
‘আমরা খুব দ্রুত আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করতে চাই। প্রাথমিক ভাবে সড়কযোগে দেশটিতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাবে। তবে তালেবান সরকারকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম এবং তা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দেশী-বিদেশী কর্মীদের পূর্ণ নিরাপত্তা তালেবান সরকারকে দিতে হবে।’
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রানডি খুব দ্রুত আফগানিস্তান সফরে যেতে চান।
গত মে মাস থেকে আফগানিস্তান দখলে অভিযান শুরু করেছে তালেবান বাহিনী এবং অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে মাত্র চার মাসে দেশটির ৩৪টি প্রদেশের সবগুলো নিজেদের দখলে এনে গত মঙ্গলবার নতুন সরকার গঠন করেছে তারা।
তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যকার কয়েক মাসের সংঘাতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আফগানিস্তানের ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ, যা দেশটিনর মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানবিক সহায়তার অভাবে ধুঁকছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সম্প্রতি জেনেভায় জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহের মন্ত্রিসভা পর্যায়ের একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে ৬৬ কোটি ডলার পাঠাতে চায় জাতিসংঘ।
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ