নোকিয়ার পুরোনো ৩৩১০ মডেলের আস্ত একটি মোবাইল গিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কসোভোর এক ব্যক্তি। পরে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোবাইলটি বের করায় প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর বলছে, কসোভোর প্রিস্টিনা শহরের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নোকিয়ার ৩৩১০ মডেলের একটি মোবাইল ফোন গিলে ফেলেছিলেন। মোবাইলটির ব্যাটারি এবং বোতামও ছিল। মোবাইলটি গিলে ফেলার পর নিজেই হাসপাতালে যান।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা স্ক্যান করে দেখতে পান, ওই ব্যক্তির পেটে তিন খণ্ডে বিভক্ত হয়েছে মোবাইলটি। তবে সেটি হজম করা একটু দুরূহ হয়ে পড়ে। পাকস্থলিতে ব্যাটারির রাসায়নিক পদার্থ মিশে যাওয়ার শঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি।

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মোবাইলটি পাকস্থলি থেকে বের করার পর সেটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন চিকিৎসক দলের প্রধান স্কেনদার তেলজাকু। এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তির এক্স-রে এবং এন্ডোস্কোপের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। এতে দেখা যায়, মোবাইল ফোনটি ওই ব্যক্তির পাকস্থলিতে পড়ে আছে।

ওই চিকিৎসক বলেছেন, পাকস্থলিতে কাঁটাছেড়া ছাড়াই তিনি মোবাইলের তিনটি টুকরো বের করেছেন। অস্ত্রোপচার ভালোভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক স্কেনদার। তিনি বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় কোনও ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মোবাইল গিলে ফেলার পর তীব্র ব্যথা শুরু হওয়ায় ওই ব্যক্তি নিজেই রাজধানী প্রিশ্চিনার এক হাসপাতালে যান।

২০১৪ সালে এক নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির মোবাইল ফোন গিলে ফেলার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেটি গলায় আটকে যাওয়ায় পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে আনা হয়। ২০১৬ সালেও ২৯ বছর বয়সী এক যুবক তার মোবাইল ফোন গিলে ফেলেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে বমির পরও সেটি বের না হওয়ায় চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটি বের করেন।

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মোবাইলটি অপসারণের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে 

এসএস