পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবান-বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া আহমেদ মাসুদ ও আশরাফ গনির নেতৃত্বাধীন সাবেক আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ

আফগানিস্তানে বিরোধীদের শেষ শক্ত ঘাঁটি পাঞ্জশির উপত্যকা আগেই নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান। এরপরই উপত্যকা ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন আশরাফ গনির নেতৃত্বাধীন সাবেক আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।

অন্যদিকে তালেবান পাঞ্জশিরের দখল নেওয়ার পর উপত্যকাটির প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া আহমেদ মাসুদের অবস্থান অজানা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা শার্লট বেলিস জানিয়েছেন, ‘পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবান-বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া আহমেদ মাসুদের ভাগ্যে ঠিক কি ঘটেছে তা এখনও অজানা।’

অন্যদিকে তালেবানের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, পাঞ্জশির উপত্যকার পতনের পর তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।

আলজাজিরা জানিয়েছে, তালেবানের হাতে রাজধানী কাবুলের পতনের পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের অনেক সদস্য পাঞ্জশিরে পালিয়ে যান এবং নিজেদেরকে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সেসময় তারা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন।

এর আগে প্রায় এক সপ্তাহের যুদ্ধ শেষে পাঞ্জশির পুরোপুরি দখলে এসেছে বলে জানায় তালেবান। সোমবার রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই তথ্য জানান।

আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ৩৩টির দখল নেওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট কাবুলে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় তালেবান। একমাত্র যে প্রদেশটি তালেবানের দখলের বাইরে ছিল- তার নাম পাঞ্জশির।

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার ক্ষুদ্র এই পার্বত্য প্রদেশটির দখল নিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে সামরিক অভিযান শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা। পরে সোমবার সকালে উপত্যকাটি দখলের দাবি করে তারা।

আফগানিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই এ বিষয়ক কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরের প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। এছাড়া কয়েকটি ভিডিওতে পাঞ্জশিরে তাদেরকে নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করতেও দেখা যায়।

টিএম