আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশ পাঞ্জশিরে গত ৪ দিনের যুদ্ধে ৭০০ জনকে হত্যার দাবি করেছে প্রদেশটির নেতা আহমাদ মাসুদ এবং আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)।

এছাড়া আরও প্রায় ৬০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে বলে রোববার এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে জোট।

টুইটে এনআরএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এ পর্যন্ত পাঞ্জশিরে ৭০০ জনেরও বেশি তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে, বন্দি করা হয়েছে আরও ৬০০ জনকে। বাকিদের অনেকেই পালানোর চেষ্টা করছে।’

‘আমরা এগিয়ে আছি। সবকিছুই পরিকল্পনামাফিক হচ্ছে। পুরো প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ এখনও আমাদের হাতে আছে।’

আফগানিস্তনের মোট ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে এক পাঞ্জশির ছাড়া বাকি ৩৩ টিতেই দখল প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে তালেবান বাহিনী। দখলের বাইরে থাকা সর্বশেষ এই প্রদেশটি কব্জায় আনতে গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে পাঞ্জশিরে অভিযান শুরু করেছে তালেবান বাহিনী।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে এনআরএফ মুখপাত্র ফাহিম দাশতি জানিয়েছেন, পাঞ্জশিরের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় আটকা পড়া এই তালেবান সদস্যরা আশাপাশের প্রদেশগুলো থেকে কোনো সহযোগিতা বা রসদপত্রের যোগান পাচ্ছেন না।  

এছাড়া, পাঞ্জশিরের বিভিন্ন এলাকায় ল্যান্ডমাইন থাকার কারণে তালেবান বাহিনীর অগ্রযাত্রাও ধীর গতির হয়ে পড়েছে বলে স্পুটনিককে জানিয়েছেন তিনি।

পাঞ্জশিরের বিভিন্ন এলাকায় ল্যান্ডমাইন থাকার কারণে তালেবান বাহিনীর অভিযান ধীর গতি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এক তালেবান মুখপাত্রও। আল জাজিরাকে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘পাঞ্জশিরের রাজধানী বাজারাক ও প্রাদেশিক গভর্ণরের কার্যালয় এলাকা ল্যান্ডমাইন থাকার কারণে অভিযানে গতি আনা যাচ্ছে না।

আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে যে প্রদেশগুলো আয়তনে ছোট, পাঞ্জশির তাদের মধ্যে অন্যতম।

কিন্তু এই ক্ষুদ্রাকৃতির পার্বত্য প্রদেশটি কখনও পরাজিত হয়েছে- এমন ইতিহাস পাওয়া যায়নি। গত শতকের আশির দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন অভিযান চালানোর সময় পাঞ্জশির স্বাধীন ছিল। পরে তালেবান বাহিনী ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করলেও দখলে আনতে পারেনি পাঞ্জশিরকে।

সূত্র : স্পুটনিক, এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ