কাবুলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর আফগানিস্তানের যৌনকর্মীদের তালিকা তৈরি করছে তালেবান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, তালিকায় নাম থাকা যৌনকর্মীদের খুঁজে বের করে তাদের মেরে ফেলা হতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান। 

সানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তালেবান কাবুলে ঢোকার পর যৌনকর্মীদের অনেকে দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু অনেকে এখনো লুকিয়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে। পর্নো সাইটগুলো খতিয়ে দেখে যৌনকর্মীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। 

দ্য সানের দাবি, এমন তালিকা তৈরির পরেই সেই তালিকা অনুযায়ী যৌনকর্মীদের খুঁজে বের করা হবে। তাদের মধ্যে যারা বিদেশিদের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছেন তাদের মেরে ফেলা হতে পারে। বাকিদের যৌনদাসী করে রাখতে পারে তালেবান।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর থেকে ব্যাপকভাবে এই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, আবারও হয়তো আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যেমন তালেবান এর আগেও করেছিল।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তালেবান। তখন যৌনপেশায় যুক্ত অনেক নারীকে প্রকাশ্যে হত্যা ফেলা হয়েছিল। গত ২০ বছর ধরেও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক থাকা অনেক নারীকে খুন করেছে কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর নারীদের অধিকার উদ্বিগ্ন বিশ্ব সম্প্রদায়। তালেবান শরিয়া আইনে দেশ শাসনের ব্রত নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসায় আফগান নারীরা আবারও অধিকারবঞ্চিত হচ্ছেন এমন ধারণাও দিন দিন জোরালো হচ্ছে।  

তালেবান আসার পর কাবুলের পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে শুরু করেছে। আর এই বদলে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, কাবুলজুড়ে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা নারীদের ছবি মুছে ফেলার পাশাপাশি নারীর ছবিতে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডও গুঁড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।

এএস