সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের পশ্চিমবঙ্গে বাঘের আক্রমণে একজন জেলে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।তার নাম সুদর্শন সরদার। আহতকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে গোসাবার সোনাগা গ্রাম থেকে পাঁচজন জেলের একটি দল সুন্দরবনে যান মাছ ধরতে। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিলার জঙ্গলের কাছে মাছ ধরার সময় হঠাৎ একটি বাঘ নৌকার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় বাঘটি জেলে সুদর্শনের ঘাড়ে ও পায়ে কামড় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তার অন্যান্য সঙ্গীরা বাঘের সঙ্গে লড়াই শুরু করে। তাদের মরিয়া লড়াইয়ে অবশেষে সুদর্শনকে ছেড়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায় বাঘটি। 

এরপর বন দফতরকে খবর দেওয়া হলে বনকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। গোসাবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে ওই জেলেকে।

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছিল উত্তর ২৪পরগণার এক মৎস্যজীবীর। সন্দেশখালির খড়িয়াহাট গ্রাম থেকে গত বুধবার পাঁচজনের একটি মৎস্যজীবী দল নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে সুন্দরবনের বাগনা এলাকায় নৌকা রেখে মাছ ধরতে নামেন ৩৬ বছরের অন্ন দাস। বাকি সঙ্গীরা নৌকাতেই ছিলেন। কারণ, তখন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল। 

এরই মধ্যে হঠাৎ করে জঙ্গলের ভেতর থেকে বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্ন দাসের ওপর। তাকে মুখে করে জলে লাফ দেয় রয়েল বেঙ্গল। অন্ন দাসের সঙ্গী সাধু মালিসহ বাকিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে বাঘ অন্ন দাসকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গীরা তাকে পানি থেকে নৌকায় তুলে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অন্য দাস মারা যায়।

অন্য দাসের বাড়ি সন্দেশখালি বয়ারমারি ১-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িয়াহাট গ্রামে। পুলিশ ও বন দফতর মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমর জন্য পাঠায়। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানিয়েছিলেন, নিহত জেলের পরিবার যাতে সরকারি সাহায্য যাতে পায় সেই ব্যবস্থা করবেন।

ওএফ