কঙ্গোতে জঙ্গি হামলায় নিহত ১৯
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কিভুতে জঙ্গি হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাতে এই হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিভু প্রদেশের বুলিকি জেলার কাসানজি-কিথোভো গ্রামে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র দুবৃত্ত। গ্রামের বাড়িঘরে লুটপাট চালানোর পাশাপাশি এলোপাতাড়ি গুলিও চালায় তারা।
বিজ্ঞাপন
বুলিকি জেলার প্রধান নির্বাহী কালুঙ্গা মেসো এবং স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা সিইপিএডিএইচও’র কর্মকর্তারা এই ঘটনার জন্য কঙ্গোভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিপি)কে দায়ী করেছেন।
কাহিন্দো লেম্বুলা নামের এক নারী রয়টার্সকে জানান, তার স্বামীসহ চার আত্মীয়কে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার দুই সন্তানকে নিয়ে এখন আমি কোথায় যাব, জানি না। একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কঙ্গোয় এডিএফের দৌরাত্ম্য ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ এডিএফের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন।
এডিএফকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি বছর কিভু এবং তার পার্শ্ববর্তী প্রদেশ ইতুরিতে সামরিক আইন জারি করেছে কঙ্গোর কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ তো হচ্ছেই না, উল্টো সামরিক আইন জারির পর থেকে কিভুতে বেসামরিক মানুষজন হত্যার হার অনেক বেড়ে গেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন প্রদেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
তবে শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করে এখন পর্যন্ত এডিএফ বা অন্য কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কোনো বিবৃতি দেয়নি।
কঙ্গোর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগোযোগ রক্ষা করে চলে এই গোষ্ঠী। চলতি বছর মার্চে এডিএফকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে ওয়াশিংটন।
তবে জুন মাসের এক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আইএসের সঙ্গে এডিএফের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ