ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আফগানিস্তানকে অভিন্ন ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ ভাইদের দেশ অভিহিত করে আফগানদের নানা সমস্যা এবং কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবারের হামলা নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের এসব সংকট যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি, যারা দেশটিকে বিশ বছর ধরে দখলে রেখেছে ও আফগানদের ওপর নানা ধরনের জুলুম চাপিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানে মার্কিন উপস্থিতির নেতিবাচক প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বিয়ে ও শোক অনুষ্ঠানে বোমা বর্ষণ, যুবকদের হত্যাযজ্ঞ, বিনা কারণে বহু মানুষকে কারাবন্দি রাখা এবং মাদক উৎপাদন আগের চেয়েও অন্তত বিশ গুণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এর দায় চাপিয়ে মার্কিন আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। 

খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের উন্নতির জন্য কিছুই করেনি এবং বর্তমানে দেশটি অবস্থান ও উন্নয়ন বিশ বছর আগের তুলনায় পিছিয়ে না থাকলেও কোনোভাবে এগিয়েও নেই। এর জন্য মার্কিন আগ্রাসনকেই মূলত দায়ী করেছেন তিনি।

আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ইরানের নীতির কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা আফগান জনগণের পক্ষে রয়েছি। কারণ সরকারগুলো অতীতের মতো আসবে আর যাবে কিন্তু আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে চিরকাল থাকতে হবে সেখানকার জনগণকে।’

খামেনি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতাকে ব্যর্থতাপূর্ণ উল্লেখ করে আরও বলেছেন, বিশ বছরের মার্কিন দখলদারিত্ব শেষে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোপুরি ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে মার্কিনরা কলঙ্কজনকভাবে আফগানিস্তানের মাটি ত্যাগ করেছে।

মার্কিনিদের এমন পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী কয়েক বছর আগেই ইরান করেছিল বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। যুক্তরাষ্ট্র বিশ বছর আগে যেসব শ্লোগান আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আফগানিস্তান দখল করেছিল তার একটিকেও বাস্তবতার মুখ দেখিনি বলে দাবি তার।

খামেনি বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের কোনো পার্থক্য নেই। তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মার্কিন সরকার এমন এক হিংস্র নেকড়ে যা মাঝে মধ্যে ধূর্ত শিয়ালে পরিণত হয়। আফগানিস্তানের বতর্মান পরিস্থিতি এর একটি দৃষ্টান্ত।’

এএস