কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় ১৩ মার্কিন সেনা নিহত
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৬০ জন নিহত ও ১৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
বিজ্ঞাপন
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকমের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি বলেন, কাবুল বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এটা খুবই কঠিন দিন। আইএসআইএস এ হামলা চালিয়েছে। আফগানিস্তানে এখনো সহস্রাধিক মার্কিন নাগরিক অবস্থান করছে।
মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, নিহতের ১২ থেকে বেড়ে ১৩ জনে পৌঁছেছে। ২০১১ সালের আগস্টে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৩০ মার্কিন সেনা নিহতের পর এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএসআইএস-কে) আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। আইএসআইএস-কের হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণে সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া তিনটি গেটের একটি অ্যাবে গেট। দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজারো আফগান সেখানে অবস্থান করছিলেন।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের পর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, রক্তমাখা কাপড়ে আহতদের দুই চাকার বাহনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নারী, পুরুষ ও শিশুদের কেউ কেউ মাথায় ব্যান্ডেজ পরিহিত অবস্থায় বিস্ফোরণস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।
আফগান সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি এক টুইটে বলেছেন, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন খালের পাশে নারী শিশুসহ অনেক আফগান অপেক্ষা করছিলেন। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং বন্ধু আমাকে বলেছেন, বিস্ফোরণের পর আরেক হামলাকারী গুলিবর্ষণ শুরু করে।
এছাড়া বিস্ফোরণে অনেকে আহত হওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
কাবুলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিনিধি সেকেন্দার কারমানি বলেন, অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে কাবুলের বিমানবন্দরে লাশের স্তূপ দেখা গেছে। যে কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের বিস্ফোরণের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিস্ফোরণটি ‘সত্যিই শক্তিশালী’ ছিল। তিনি বলেছেন, আমরা বিমানবন্দরের যেখানে ছিলাম, সেখান হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।
ওএফ