করোনার জেরে ২০২০ সালের ২২ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল দার্জিলিং-নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) টয় ট্রেন পরিষেবা। দীর্ঘ ১৭ মাস পর বুধবার (২৫ আগস্ট) ফের এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। একইসঙ্গে দীর্ঘ ৩০ বছর পর টয় ট্রেনে চালু হচ্ছে পার্সেল ভ্যানও।

এদিন এনজেপি-তে প্রথম ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেন কাটিহারের ডিআরএম শুভেন্দুকুমার চৌধুরী। ওই স্টেশন থেকে টয় ট্রেনে চাপেন দুই যাত্রী। একইভাবে দার্জিলিং থেকে টয় ট্রেন যাত্রার সূচনা করেন স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজার সুমন প্রধান।

অন্যদিকে, পর্যটকদের জন্য আগামী ৩০ আগস্ট থেকে চালু হচ্ছে এনজেপি-রংটং স্পেশাল ‘জঙ্গল টি সাফারি’। ডিআরএম জানিয়েছেন, মাথা পিছু ভাড়া আপাতত এক হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের টি টেস্টিং করানো হবে। পাশাপাশি উন্নত করা হচ্ছে রেলের ট্র্যাক, ইঞ্জিন এবং বগি। বাড়ানো হচ্ছে জয় রাইডের সংখ্যাও। দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে চলবে মোট ১২টি জয় রাইড ট্রেন।

চলতি মাসের ১৬ আগস্ট দার্জিলিং থেকে ঘুমের মধ্যে টয় ট্রেন পরিষেবা শুরু হলেও বন্ধ ছিল দার্জিলিং থেকে এনজেপি পর্যন্ত পরিষেবা। কোভিড প্রোটোকল মেনে বুধবার সেটিও চালু হলো।

তরাই, ডুয়ার্স, দার্জিলিং পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া এই টয় ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই দেশ-বিদেশের পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে ছুটে আসেন মূলত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ও টয় ট্রেনে চড়ে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে। বহুদিন পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমাধারী টয় ট্রেন ফের চালু হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষও। তাদের মতে, এর ফলে বিদেশি পর্যটকেরা আবার পাহাড়মুখী হবেন। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে টয় ট্রেনের জয় রাইড পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পর্যটনের দ্বার খুলে দেওয়া হলেও দার্জিলিংসহ তরাই ও ডুয়ার্সে পর্যটকদের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছিল। কিন্তু পূজার আগে টয় ট্রেন পরিষেবা ফের চালু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা।

সূত্র : আনন্দবাজার

জেডএস