রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। এতে সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর দেশটিতে উদ্ভূত হুমকি মোকাবিলায় রাশিয়া এবং চীন প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে ঐক্যমতে পৌঁছেছে।

এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, টেলিফোনে আলাপকালে উভয় রাষ্ট্রনেতা আফগান ভূখণ্ডে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের হুমকি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব এবং ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার বিস্তার রোধের ব্যাপারেও কথা বলেছেন।

টেলিফোনে আলোচনায় ভ্লাদিমির পুতিন এবং শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ জোরদার করতে সম্মত এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহারে সম্মত হয়েছেন। এ জন্য আগামী মাসে তাজিকিস্তানে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হতে পারে বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। 

সাবেক সোভিয়েতভূক্ত মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশে মস্কোর সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে আফগানিস্তান এবং চীনের সীমান্ত আছে। মস্কো কাবুলের নতুন নেতৃত্বের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও পুতিন আফগান জঙ্গিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

এদিকে, যথাযথ নথিপত্র আছে এমন আফগানরা মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোটের আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে চলে যাওয়ার পরও আফগানিস্তান ছাড়তে পারবেন বলে দেশটির নতুন শাসকগোষ্ঠী তালেবান জানিয়েছে।

বুধবার আফগানিস্তানে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মার্কাস পোটজেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, তিনি তালেবানের উপপ্রধান সমঝোতাকারী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আগামী ৩১ আগস্টের পরও যথাযথ নথিপত্রধারী আফগানরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে দেশ ছাড়তে পারবেন বলে তালেবানের এই নেতা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেছেন।

সূত্র: এএফপি।

এসএস