গ্রেফতারের পরপরই জামিন পেলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারা মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন দেশটির নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী। তবে গ্রেফতারের কিছু সময় পরই আদালত থেকে জামিন পান তিনি। অভিযুক্ত ওই মন্ত্রীর নাম নারায়ণ রানে। গত ২০ বছরের মধ্যে ভারতে এই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের হাতে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটল।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মহারাষ্ট্রে গিয়ে একটি জনসভায় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চড় মারার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী রানে। তিনি জানিয়েছিলেন, এটা কত তম স্বাধীনতা দিবস তা উদ্ধব জানতেন না। পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির কাছ থেকে তাকে জানতে হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে এই অজ্ঞানতার জন্যই তাকে চড় মারার কথা বলেছিলেন রানে। তার ভাষায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে থাপ্পড় মারা উচিত।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে রানের এই মন্তব্য ঘিরে মহারাষ্ট্রে আলোড়ন দেখা দেয়। শিবসেনা কর্মীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। কিছু জায়গায় তারা বিজেপি অফিসে হামলা করে। প্রতিবাদে বিজেপি বুধবার মহারাষ্ট্র জুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করছে।
বিতর্কিত ওই মন্তব্যের জেরে নারায়ণ রানের বাড়ির সামনে বুধবার তীব্র বিক্ষোভ দেখায় শিবসেনা সমর্থকরা। তারপরই রানেকে গ্রেফতার করে রত্নগিরি পুলিশ। তবে গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে রানে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তিনি এই ধরনের মন্তব্য আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করতে হয়েছে। এছাড়া আগামী ৩১ আগস্ট ও ১৩ সেপ্টেম্বর রানেকে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হবে।
অবশ্য রানের আইনজীবী জানিয়েছেন, মন্ত্রী যখন খাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তারা হাইকোর্টে যান। পরে নিম্ন আদালতে রানের জামিন হয়।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ভারতের কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করলো কোনো রাজ্য সরকার। নারায়ণ রানে একসময় শিবসেনাতে ছিলেন। বালাসাহেব ঠাকরের আমলে শিবসেনাতেই তার উত্থান। শিবসেনার অভিযোগ, রানে জেনেবুঝে মহারাষ্ট্রে উত্তেজনা ছড়াতে চাইছেন। তাই তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সর্বশেষ রদবদলে রানেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তাকে ছোট ও মাঝারি শিল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া রানেকে মন্ত্রী করার জন্য প্রকাশ জাভড়েকরকে বাদ দেওয়া হয়। রানে দক্ষ সংগঠক হওয়ায় পরবর্তী লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদি।
টিএম