১৮ বছর লড়াইয়ের পর নিজেকে জীবিত প্রমাণে সক্ষম হন লালবিহারি মৃতাক

আপনি যদি মারা যান, তাহলে আর জমির মালিক থাকতে পারেন না। আর ঠিক এই কারণেই ভারতে অনেক জীবিত মানুষকে মৃত হিসেবে নিবন্ধিত করে তাদের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অনেক ঘটনা ঘটছে। এরকম জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরও এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা কিছুই করতে পারছেন না।

পাডেসার যাদব রীতিমত জীবিত এবং ভালোই আছেন। কিন্তু যখন তিনি আবিষ্কার করলেন যে কাগজে-কলমে তিনি আসলে মৃত- তখন বেশ অবাক হলেন। তার বয়স এখন ৭০-র কোঠার শেষের দিকে। হঠাৎ করে তার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই মারা গিয়েছিল।

তখন দুই নাতি-নাতনিকে দেখাশোনার দায়িত্ব পড়লো তার কাঁধে। তাদের লালন-পালন আর পড়াশোনার খরচ জোগাতে তিনি বাধ্য হয়ে নিজের গ্রামে কিছু জমি বিক্রি করলেন। এই জমি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন তার বাবার কাছ থেকে। কিন্তু কয়েক মাস পর তিনি একটা অদ্ভূত ফোন কল পেলেন।

যাদব বলছেন, ‘যে লোকটির কাছে আমি জমি বিক্রি করেছিলাম, সে আমাকে ফোন করে বললো- আমার বিরুদ্ধে নাকি একটা মামলা আছে। আমার ভাতিজা নাকি সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমি মারা গেছি এবং এক ব্যক্তি আমার ছদ্মপরিচয়ে প্রতারণা করে এই জমি বিক্রি করেছে।’

পাডেসার যাদব থাকেন কলকাতায়। তিনি সাথে সাথে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে তার গ্রামের দিকে রওনা দিলেন। গ্রামের লোক যখন তাকে দেখলেন, তারা রীতিমত চমকে উঠলেন।

তিনি বলছেন, ‘ওরা এমনভাবে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো, যেন ওরা ভূত দেখছে । ওরা বললো, আপনি তো মারা গেছেন! আপনার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্যন্ত হয়ে গেছে!’

পাডেসার যাদব জানান, ভাতিজার সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যখনই তার ভাতিজা শহরে আসতেন, তার সঙ্গে দেখা করতেন। কিন্তু তিনি যখন একদিন ভাতিজাকে জানালেন যে, তিনি জমি বিক্রির পরিকল্পনা করছেন, তারপর তার আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল।

পাডেসার এখন জানতে পারছেন যে, তার ভাতিজা আসলে উত্তরাধিকার সূত্রে তার জমি দাবি করছে। কাজেই পাডেসার তার মুখোমুখি হলেন। যাদব জানান, ‘ও বলছিল, এই লোকটাকে তো আমি জীবনে কখনও দেখিনি। আমার চাচা তো অনেক আগে মারা গেছে। ভাতিজার কথা শুনে আমি তো রীতিমত স্তম্ভিত। আমি ওকে বললাম, আমি তো তোমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছি। আমি জীবিত। কেন তুমি আমাকে চিনতে পারছো না?’

পাডেসার জানান, এরপর তিনি কয়েকদিন ধরে কান্নাকাটি করছিলেন। তারপর একদিন তিনি মন শক্ত করলেন এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য লিভিং ডেড ইন ইন্ডিয়া’ (জীবিত মৃত মানুষদের সমিতি) বলে একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। এই সংগঠনটি চালান লালবিহারি মৃতাক, তার বয়স এখন ষাটের বেশি। জীবিত মানুষকে মৃত ঘোষণার পরিণাম কী, সেটা তিনি ভালোভাবেই জানেন।

তার নিজের জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় তিনি আসলে ‘মৃত’ হিসেবেই কাটিয়েছেন। লালবিহারি খুবই দরিদ্র এক পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি কখনোই লেখাপড়ার সুযোগ পাননি, কারণ তাকে সাত বছর বয়সেই একটি শাড়ির কারখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাজ করতে। এরপর তার বয়স যখন ২০ পেরিয়েছে, তখন তিনি তার পাশের শহরে একটি কাপড়ের কারখানা খুললেন। তখন ব্যাংক থেকে কিছু ঋণ করার দরকার পড়লো। ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংক জামানত হিসেবে কিছু চাইছিল।

নিজের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে লালবিহারি কিছু জমি পেয়েছিলেন। এই জমির দলিল পেতে তখন তিন আজমগড় জেলায় তার নিজের গ্রাম খলিলাবাদের সরকারি অফিসে গেলেন। অফিসের হিসাবরক্ষক তার নাম দিয়ে জমির দলিল খুঁজে পেলেন, কিন্তু সাথে ছিল একটি ‘ডেথ সার্টিফিকেট’, যাতে লেখা, লালবিহারি মারা গেছেন।

লালবিহারি যতই প্রতিবাদ জানিয়ে বলছিলেন যে, তিনি ‘মৃত’ হতে পারেন না, কারণ তিনি তো জীবিত অবস্থাতেই সামনে দাঁড়িয়ে আছেন- তাতে কোনো ফল হচ্ছিল না। সরকারি অফিসের লোকটি তাকে সোজা জানিয়ে দিয়েছিল, ‘এখানে তো কালো অক্ষরে পরিষ্কার লেখা যে- আপনি মারা গেছেন।’

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যখন লালবিহারিকে মৃত বলে নিবন্ধিত করা হয়, তখন পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে তার পাওয়া জমির মালিকানা চলে যায় তার চাচার পরিবারের কাছে। লালবিহারি জানান, আজ পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি, এটা কি একটা দাফতরিক ভুল ছিল নাকি তার চাচার দিক থেকে কোনো জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল।

ঘটনা যেটাই হোক, লালবিহারির সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার কারখানাটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল, নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল তার পরিবার। কিন্তু লালবিহারি তার কথিত ‘মৃত্যু’ কোনো লড়াই ছাড়া মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালেন। তিনি এ নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে দেখলেন, তার মতো ভারত জুড়ে আরও বহু মানুষ একই ধরনের ঘটনার শিকার হচ্ছেন, জমি আত্মসাতের জন্য আত্মীয়-স্বজনরা জালিয়াতি করে তাদের ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করছে।

এরকম ভুক্তভোগীদের সংগঠিত করতে লালবিহারি ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য লিভিং ডেড’ নামের সংগঠন গড়ে তুললেন। তাদের সংগঠনের হিসেবে কেবল উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেই এরকম জীবিত ‘মৃত’ মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এদের বেশিরভাগই খুব গরীব, নিরক্ষর এবং সমাজের নিচের জাতের মানুষ। এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে তাদের সংগঠন আন্দোলন শুরু করল।

লালবিহারি তার নামের শেষে মৃতাক যুক্ত করলেন- যার মানে প্রয়াত। লালবিহারির নাম হয়ে গেল প্রয়াত লালবিহারি। তিনি গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করতে লাগলেন। কিন্তু তারপরও অবস্থার কোনো বদল হচ্ছিল না।

এরপর লালবিহারি জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এবং ব্যালট পেপারে একজন মৃত ব্যক্তির নাম ঢোকাতে সক্ষম হলেন। কিন্তু এরপরও যখন তিনি কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে পারলেন না যে তিনি আসলে জীবিত, তিনি তিনবার আমরণ অনশন করে নিজেকে প্রায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন।

এরপর তিনি এ ঘটনার শেষ দেখার জন্য মরিয়া হয়ে আইন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি তার চাচার সন্তানকে অপহরণ করলেন। তিনি আশা করছিলেন যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে এবং এর মাধ্যমে স্বীকার করে নেবে যে, তিনি আসলে জীবিত। কারণ কোনো মৃত মানুষকে তো আসলে গ্রেফতার করা যায় না। কিন্তু পুলিশ বুঝতে পেরেছিল লালবিহারির আসল উদ্দেশ্য কি, কাজেই তারা এ ঘটনায় নিজেদের জড়ালো না।

লালবিহারি শেষ পর্যন্ত বিচার পেয়েছিলেন, তবে তিনি যেসব অভিনব উপায়ে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সেভাবে নয়। যে সরকারি ব্যবস্থার ফাঁদে পড়ে তার জীবনে উলটপালট ঘটে গিয়েছিল, তারাই ব্যবস্থা নিল। একজন নতুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অভিযোগটি নতুন করে খতিয়ে দেখলেন এবং দীর্ঘ ১৮ বছর পর তাকে জানানো হলো, তিনি মৃত নন, জীবিত।

লালবিহারি জানান, তার সংগঠনের মাধ্যমে তিনি ভারতজুড়ে হাজারো মানুষকে সাহায্য করেছেন, যারা তার মতো একই ধরনের দুর্ভোগের শিকার হয়েছিল। এদের অনেকে অবশ্য তার মতো এত সৌভাগ্যবান ছিল না। অনেকে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও কোনো প্রতিকার পায়নি, শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছিল। আবার অনেকের মামলার সুরাহা হওয়ার আগেই তারা মারা গিয়েছিলেন।

তিলক চান্দ ঢাকাদ নামের এক ব্যক্তি মাত্রই একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের ৭০ বছর বয়সী এই লোক যখন তার নিজের কৃষিজমি দেখতে যান, তখন তাকে বেড়ার বাইরে থেকে তাকিয়ে থাকতে হয়।

অথচ এই জমিতেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। তিলক চান্দের অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। তিনি জানেন, এই জমি যতদিনে তিনি আবার ফিরে পাবেন, ততদিন তিনি হয়তো আর বাঁচবেন না।

তিলক চান্দ যখন তরুণ ছিলেন, তখন আয়-উপার্জনের জন্য শহরে পাড়ি জমিয়েছিলেন। নিজের জমি তখন তিনি বর্গা দিয়েছিলেন এক দম্পতিকে। কিন্তু কিছু দলিলে সই করতে যখন তিনি গ্রামে ফিরে যান, তখন তিনি আবিষ্কার করেন যে, এই জমির মালিকানা আর তার কাছে নেই, কারণ তিনি নাকি মারা গেছেন।

তিনি বলছেন, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অফিসের এক কর্মকর্তা আমাকে বললো, আমি নাকি মৃত। আমি ভাবলাম, সেটা কী করে হয়। আমি সাংঘাতিক ভয় পেয়েছিলাম।’

তিলক চান্দ জানান, তিনি শিগগিরই বুঝতে পারলেন, যে দম্পতিকে তিনি জমি বর্গা দিয়েছিলেন, তারাই তাকে মৃত সাজিয়ে জমি আত্মসাৎ করেছে। তাকে মৃত হিসেবে নিবন্ধনের পর স্ত্রীলোকটি বিধবা সেজে স্থানীয় কোর্টে যায় এবং বলে যে সে জমি বিক্রির দলিলে সই করতে রাজী।

তিলক চান্দ যে দম্পতির বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন, বিবিসি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু তারা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজী হয়নি। এরকম জীবিত মৃতদের পক্ষে কিছু মামলা লড়েছেন অনিল কুমার নামের এক আইনজীবী। তার অনুমান, উত্তরপ্রদেশের আজমগড়, লালবিহারি যেখানকার বাসিন্দা, সেখানে হয়তো অন্তত এরকম শ'খানেক মানুষ আছে, যাদেরকে জীবিত অবস্থাতেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রতিটি কেসই বেশ জটিল। অনেক সময় হয়তো দাফতরিক ভুলের কারণে এটা হয়েছে, অনেক সময় হয়তো সরকারি কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে কারও নামে ডেথ সার্টিফিকেট জারি করা হয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন মুখপাত্র শাইনা এনসি বিবিসিকে বলেছেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি বন্ধের জন্য নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো এত বিশাল এবং বৈচিত্রময় এক দেশে কয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুশাসনে বেশ ভালোই সুরক্ষিত। যদি কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটে থাকে, দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার যথেষ্ট ব্যবস্থা পার্লামেন্টে আছে।’

কিন্তু অনিল কুমার বলছেন, এসব মামলা যেহেতু জালিয়াতির ফল, তাই ন্যায়বিচার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তিনি একটি মামলা লড়েছিলেন, যেখানে তার মক্কেল যে জীবিত এটা প্রমাণ করতে প্রায় ছয় বছর সময় লেগেছিল। আর যে লোকটি জালিয়াতির মাধ্যমে তার মক্কেলকে মৃত ঘোষণা করেছিল, তার বিরুদ্ধে মামলার রায় ২৫ বছর পর এখনও হয়নি, তারা এখনও বিচার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

অনিল কুমার বলেন, ‘এসব মামলার বিচার যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত করা হতো, যাতে অপরাধীরা সাজা পায়, তাহলে যেসব লোক এধরনের অপরাধে জড়িত, তারা হয়তো ভয় পেত।’

লালবিহারি মৃতাককে মৃত ঘোষণার পর ৪৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তিনি যে জীবিত, সেটি প্রমাণ করার পর পেরিয়ে গেছে আরও দুটি দশক। কিন্তু তারপরও তিনি প্রতি বছর তার ‘পুর্নজন্ম দিবস’ পালন করেন। জন্মদিনের কেকের চারপাশে জড়ো হন তার অতিথিরা। কিন্তু যখন কেক কাটার জন্য তিনি ছুরি চালান, তখন অতিথিরা বুঝতে পারেন, এটি আসলে সত্যিকারের কেক নয়, কেকের মতো দেখতে একটি কার্ডবোর্ডের খোল।

তিনি বলছেন, ‘এই কেকের ভেতরটা আসলে একদম ফাঁপা, আমাদের কিছু সরকারি কর্মকর্তার মতো, যারা ফাঁপা বুলি ছাড়ে, যাদের কাছে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। আমি উদযাপন করার জন্য এই কেক কাটি না। আমরা যে সমাজে বাস করি, তার অবস্থা তুলে ধরার জন্যই আমি এটা করি।’

লালবিহারি জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখনও বহু মানুষ তাকে ফোন করেন, তার কাছে পরামর্শ চান, কীভাবে তারা নিজেদের জীবিত বলে প্রমাণ করতে পারেন। কিন্তু ৬৬ বছর বয়সে এসে লালবিহারি যেন কিছুটা ক্লান্ত। এখন তিনি এই লড়াই থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবেন।

তার ভাষায়, ‘এই সংগঠন চালানোর মতো উদ্যম এবং অর্থ কোনোটাই আর আমার নেই। এর দায়িত্ব যে কেউ নেবে, সেরকমও কেউ নেই।’

লালবিহারি সবসময় আশা করেছিলেন, ভারতের জাতীয় গণমাধ্যম দেশটির দুর্ভাগা মানুষদের পাশে দাঁড়াবে এবং সরকার ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এর কোনোটাই ঘটেনি। যে লোকটি নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ১৮ বছর ধরে লড়াই করেছেন, তিনিও একদিন সত্যি সত্যি মারা যাবেন। কিন্তু যে পরিবর্তনের আশায় তিনি এই লড়াই চালিয়েছেন, সেটা অনার্জিতই থেকে যাবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

টিএম