টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন/ ছবি: সংগৃহীত

এবার পাকিস্তানেও জরিমানা গুনল টার্কিশ এয়ারলাইন্স। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর জন্য জারি করা বিধি ভেঙে যাত্রী বহন করায় এয়ারলাইন্সটিকে এক লাখ রুপি জরিমানা করে পাকিস্তান সিভিল অথরিটি।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, করোনার কারণে পাকিস্তানে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ভঙ্গ করেছে এয়ারলাইন্সটি।

তুরস্কভিত্তিক বিমান পরিষেবা সংস্থার ১৩ জানুয়ারির একটি ফ্লাইট (টিকে০৫৮৪) ইস্তাম্বুল ও সেনেগাল থেকে করোনা নেগেটিভের যথাযথ সনদ ছাড়া দুজন যাত্রী লাহোরে বহন করায় এ জরিমানা করেছে দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশন।

পাকিস্তান সিভিল অথরিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণের বি-ক্যাটাগরিতে থাকা দেশগুলো থেকে স্বচ্ছ নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী বহন করায় গত বছরের ১৩ ও ২৩ অক্টোবরেও এয়ারলাইন্সটিকে সতর্ক ও জরিমানা করেছিল পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এসব দেশ থেকে সন্দেহভাজনদের পাকিস্তানে বহনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয় এয়ারলাইন্সটিকে।

এদিকে, করোনা নেগেটিভের সনদ ছাড়া তিন যাত্রী আনায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমান।

তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ইস্তাম্বুল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যে ফ্লাইট ঢাকা এসে পৌঁছায় সেখানে তিন যাত্রীর কোভিড-১৯ টেস্টের কোনো সনদ ছিল না। ওই তিন যাত্রী বাংলাদেশি ও একই পরিবারের সদস্য। তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় পৌঁছান।

শেখ হাফিজুর রহমান জানান, ওই তিন যাত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা শুরুর আগে চিকিৎসকের থেকে চেকআপ করিয়ে এই মর্মে সনদ নেন যে করোনার কোনো লক্ষণ তাদের নেই। কিন্তু তারা কেউ কোভিড শনাক্তকরণের জন্য বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্ধারিত পিসিআর টেস্ট করাননি।

বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী আনায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এফআর