আফগানিস্তানের জনগণকে তালেবানের শাসন গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির ভাই হাসমত গনি। তিনি বলছেন, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণকে তিনি সমর্থন করছেন। একইসঙ্গে দেশটিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২১ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে আলাপকালে হাসমত গনি একথা বলেন। পশ্চিম কাবুলের নিজের বাড়ি থেকে সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, কাবুলের নতুন ক্ষমতা কাঠামোকে আফগানিস্তানের জনগণের স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আফগান ভূখণ্ড থেকে বিদেশি বাহিনীর চূড়ান্ত প্রস্থানের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি আছে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, পেশায় একজন ব্যবসায়ী হাসমত গনি গত কয়েকদিন ধরে তালেবান নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন। হাসমত জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সম্ভাব্য তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে তিনি রাজি হয়েছেন। দেশটির রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রভাব ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

তিনি বলছেন, আফগানিস্তানের যেসব ব্যবসায়ীরা দেশের স্কুল, হাসপাতাল, স্টোর, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টরের অবকাঠামো গড়ে তুলতে লাখ লাখ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন; বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তারা যদি দেশ ছেড়ে চলে যান, তাহলে তা আফগানিস্তানের অর্থনীতিসহ সামগ্রিকভাবে ভবিষ্যতের জন্য ‘অত্যন্ত বিপর্যয়কর’ হবে।

তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশের দিনই অত্যন্ত গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তবে হাসমত গনি বলছেন, তার ভাই এভাবে পালিয়ে গেলেও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই কখনও তার ছিল না।

তার মতে, ‘আমি যদি পালিয়ে যাই, তাহলে আমার দেশের মানুষের কি হবে? আমার গোষ্ঠীর কি হবে? আমার শেকড় এই আফগানিস্তানেই। এখন প্রয়োজনের সময় আমি যদি মানুষকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাই, তাহলে তাদের কাছে (সাধারণ মানুষ) কি বার্তা যাবে?’

তবে তার ভাই সাবেক প্রেসিডেন্ট অন্তত প্রাণ নিয়ে পালাতে পারায় তিনি নিজে খুশি বলেও জানান হাসমত গনি। তার ভাষায়, ‘দেশে অবস্থানের কারণে তার ভাই যদি হত্যাকাণ্ড বা গুপ্ত হত্যার শিকার হতেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেত।’

টিএম