সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবানের দেশ দখলের দু’দিন পর আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে সাদা হিজাব ও কালো বোরকা পরে স্কুলে ফিরেছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। বুধবার ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে মেয়েদের স্কুলে ফেরার এই খবর দেওয়া হয়েছে।

এএফপি বলছে, হেরাতের স্কুলের দরজা খুলে যাওয়ার পর ছাত্রীরা করিডোরে ও স্কুল চত্বরে আড্ডায় মেতে ওঠে। গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশটিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, ছাত্রীদের দেখে মনে হয়েছে তারা সে বিষয়ে কিছুই জানে না।

তালেবানের শাসনামলে মেয়েদের স্কুল শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, আপাতত সেই শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে। সরকারি বাহিনী এবং স্থানীয় মিলিশিয়াদের পতনের পর হেরাতের দখল তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর চলতি সপ্তাহে এএফপির একজন আলোকচিত্রী ছাত্রীদের স্কুলে ফেরার ছবি ক্যামেরায় ধারণ করেন। 

রোকিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‌‘আমরা অন্যান্য দেশের মতো অগ্রগতি চাই। আর তালেবান নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, দেশে শান্তি চাই।’

ইরান সীমান্তের কাছের শহর হেরাতের প্রাচীন সিল্ক রোড এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের অন্যান্য অধিক রক্ষণশীল অঞ্চলের তুলনায় ব্যতিক্রম। এই এলাকার নারী ও তরুণীরা রাস্তায় অবাধে হাঁটেন। কবিতা ও শিল্পকলার জন্য বিখ্যাত এই শহরের স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচুর উপস্থিতি দেখা যায়। তবে এই শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা এখনো অনিশ্চিত।

১৯৯০ এর দশকে আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণের সময় তালেবানরা যে শরিয়া আইনের কঠোর প্রয়োগ করেছিল তাতে নারী ও মেয়েদের বেশিরভাগই শিক্ষা ও চাকরি থেকে বঞ্চিত ছিলেন।

শরীরের আপাদমস্তক ঢেকে জনসম্মুখে আসা নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় এবং পুরুষ সঙ্গী ছাড়া কোনো নারী ঘর থেকে বের হতে পারতেন না।

এসএস/জেএস