মিয়ানমারে ৬ মাসে সহস্রাধিক প্রাণহানি
১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার দেশটির রাজনৈতিক কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এএপিপির প্রধান নির্বাহী তাতে নাইং বলেন, ‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১ হাজার ১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।’
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তার একাধিক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় লাভের পর পার্লামেন্টে আসন বিন্যাস সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয় দেশটিতে। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত।
এর জেরে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে সামরিক বাহিনী, কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করার পর চলতি বছর ১ ফেব্রয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সন সুচিকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী এবং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।
অং সান সুচি ও তার দল এনএলডির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বর্তমানে গৃহবন্দি বা কারাবন্দি অবস্থায় আছেন।
এদিকে, অভ্যুত্থানের পর পরই সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনতা। রাজধানী নেইপিদো, বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুন, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ গোটা মিয়ানমার জুড়ে শুরু হয় জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ, যা এখনও চলছে।
ক্ষমতাসীন জান্তা এই বিক্ষোভ দমনে প্রথমে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও জলকামানের ব্যবহার অনুমোদন করলেও করলেও এক পর্যায়ে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রাণঘাতী অস্ত্র করার করার নির্দেশ দেয়। তার পর থেকেই দেশটিতে বাড়তে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ