ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত ভবন থেকে ১৬ জন জীবিত উদ্ধার
ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ভূমিকম্পের তিনদিন পর একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে কমপক্ষে ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিধ্বস্ত ওই ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে থাকা অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
হাইতির সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বুধবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এছাড়া ওই একই ভবন থেকে আরও ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
হাইতির লেস কায়েস অঞ্চলের ব্রেফেত শহরের আলোচিত ওই ভবনটি আগে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ছিল। ভূমিকম্পের তিনদিন পার হলেও উদ্ধারকাজ চালানোর সময় কমপক্ষে ১৬ জনকে জীবিত ও ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৯০০ জন মানুষ।
— Pwoteksyon sivil (@Pwoteksyonsivil) August 17, 2021
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া ওই ভবনটি আগে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আঞ্চলিক দফতর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। দ্য ইউনাইটেড নেশনস স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন হাইতি নামে পরিচিত ওই মিশনটি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।
এদিকে ভূমিকম্পে হাইতিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
বুধবার সকালে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া লোকজন খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সংকটে ভুগছেন। এর মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে মৌসুমি ঝড় ‘গ্রেস’। যার প্রভাবে এরইমধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঝড়ে প্রবল বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ভূমিকম্পে অনেক হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও রোগীর চাপ বেশি থাকায় সেবা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও হাসপাতালের সামনে তাঁবু নির্মাণ করে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও রোগীরা চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।
গত শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প। প্রাথমিক কয়েকজনের মৃত্যু ও বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে সব হিসেব পাল্টে যায়। দ্রুতই বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা, সে সঙ্গে নিখোঁজও।
ভূমিকম্পের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি জনগণকে সংহতি দেখানোর আহ্বান জানান।
টিএম