আফগানিস্তানে কড়া পদক্ষেপ নিন, বাইডেনকে মালালা
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে এসেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিসহ মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য। আতঙ্কে দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে সাধারণ আফগান নাগরিকদের মধ্যেও। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের আলোচিত মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই।
একইসঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
৯ বছর আগে পাকিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের হামলার শিকার হয়েছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই নিজেও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে মালালা বলেন, আফগানিস্তানে ‘অনেক কিছু করার আছে’ এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগান জনগণকে রক্ষায় অবশ্যই ‘কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে’। এছাড়া এই বিষয়ে তিনি নিজেও কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন বলে জানান মালালা।
বিবিসি নিউজনাইট অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, ‘আফগানিস্তানে এখন কার্যত মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং আমাদের সেখানে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’
২৩ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন। বিশেষ করে নারী অধিকার ও শিক্ষার কাজে অবদান রাখছেন তিনি। নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলা এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্কুলে যাওয়ায় ২০১২ সালে তালেবানের হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেসময় তালেবান জঙ্গিরা তার মাথায় গুলি করেছিল। পরে অবশ্য চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন তিনি।
নিউজনাইটে মালালা আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে সেখান নারী ও কিশোরী মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
মালালা বলেন, ‘আমি আফগানিস্তানের কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করা কর্মীর সঙ্গেও কথা বলেছি। (তালেবান শাসনের অধীনে) তাদের জীবন কেমন হবে, সেটা তারা আসলে নিশ্চিত নয়।’
এদিকে পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মালালা ইউসুফজাই। চিঠিতে শরণার্থী শিশুদের শিক্ষা, নিরাপত্তা ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
টিএম/জেএস