তালেবানের হাতে কাবুলের চুড়ান্ত পতনের মধ্যেই রোববার রাতে সরকারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সদস্য নিয়ে আফগানিস্তান থেকে পালান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের উদ্দেশে কাবুল বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে ওঠেন তিনি।

কিন্তু তাজিকিস্তানের সরকার তাকে আশ্রয় দিতে রাজি না হওয়ায় দুশানবে থেকে রোববার রাতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের উদ্দেশে যাত্রা করেন গনি। শেষ খবর অনুযায়ী ওমানের রাজধানী আম্মানেই অবস্থান করছেন তিনি।

তবে এখন পর্যন্ত ওমান সরকার তাকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে কি না- তা জানা যায়নি।

এদিকে, কাবুল থেকে বিদায়ের সময় আশরাফ গনি বিপুল পরিমাণ অর্থ সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিককে জানিয়েছেন আফগানিস্তানে রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র নিকিতা ইশেঙ্কো।

নিকিতা ইশেঙ্কো বলেন, ‘এটি নিশ্চিত যে আশরাফ গনি পালিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে বের হওয়ার সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ সঙ্গে নিয়ে গেছেন। অন্তত চারটি গাড়ি ভর্তি অর্থ নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে বিমানবন্দরে যান তিনি।’

‘অর্থের ব্যাগগুলো বহনের জন্য আগে থেকেই বিমানবন্দরে একটি হেলিকপ্টার অপেক্ষমান ছিল। সবগুলো ব্যাগের স্থান হেলিকপ্টারে না হওয়ায় কয়েকটি ব্যাগ রানওয়েতেই ফেলে যাওয়া হয়।’

ওমানে আশ্রয় না পেলে আশরাফ গনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার দেশত্যাগের সময় এক ফেসবুক পোস্টে গনি বলেছিলেন, আফগানিস্তানকে রক্তপাতের হাত থেকে রক্ষা করতে দেশত্যাগ করছেন তিনি।

তবে দেশটির সাবেক সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নেতারা তার এই বিদায়কে কাপুরুষোচিত ও লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন।

এসএমডব্লিউ/জেএস