রাজনীতিকদের দুর্নীতির ফলেই উত্থান তালেবানগোষ্ঠীর : পাকিস্তান
আফগানিস্তানের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণেই তালেবান উত্থান ঘটেছে বলে মনে করছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। রোববার এক টুইটে এ মন্তব্য করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমর।
টুইটে আসাদ ওমর বলেন, ‘কোনো প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়াই তালেবান বাহিনীর সামনে দেশটির সামরিক বাহিনীর পরাজয়ে আমরা সবাই বিস্মিত। প্রধানত ৩ কারণে সৈন্যরা যুদ্ধ করে- ১. কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য, ২. নেতার প্রতি আনুগত্য এবং ৩. আর্থিক প্রয়োজন।’
বিজ্ঞাপন
‘এতদিন আফগানিস্তানের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের নেতৃত্বে চলছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও অর্থপ্রবাহ বর্তমানে প্রায় শূন্যের কোঠায়। তাই সৈন্যরাও যুদ্ধ করার কোনো কারণ খুঁজে পায়নি।’
— Asad Umar (@Asad_Umar) August 15, 2021
২০ বছর যুদ্ধাভিযানের পর ২০২১ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন ঘোষণা দেওয়ার পরের মাস, মে থেকে আফগানিস্তান দখলের অভিযানে নামে তালেবান গোষ্ঠী এবং অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে দেশটির ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে ২৮ টির দখল নেওয়ার পর রোববার রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেছে তালেবান বাহিনী।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আমানুল্লাহ সালেহ ইতোমধ্যে পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করেছেন। সরকারের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও পালিয়ে গেছেন বিদেশের নিরাপদ আশ্রয়।
১৯৯৬ সালে যখন তালেবানগোষ্ঠী প্রথমবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল, সেসময় তৎকালীন তালেবান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল পাকিস্তানের। ২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইট টাওয়ারে হামলার পর থেকে সেই ঘনিষ্ঠতা ফিকে হতে শুরু করে।
কাবুলে তালেবান বাহিনীর প্রবেশের প্রেক্ষিতে, অনেক দেশ আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস খালি করে কর্মীদের ফিরিয়ে আনলেও এখনও দেশটিতে দূতাবাস খোলা রেখেছে পাকিস্তান।
পাশাপাশি দেশটির সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ ভিসা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
এসএমডব্লিউ