তালেবানের আফগান দখলে হৃদয় ভাঙছে মালালার
দুই দশকের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শেষে মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের ক্ষমতার দখল নিতে যাচ্ছে তালেবান। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকার কর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি আফগানিস্তানের নারী, সংখ্যালঘু ও অন্যান্য মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানান।
রোববার সকালের দিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল চারদিক থেকে তালেবানের যোদ্ধারা ঘিরে ফেলার পর দেশটির সরকারের পতন ঘনীভূত হয়েছে। ইতোমধ্যে কাবুলের এআরজি প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর মালালা ইউসুফজাই এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করায় আমরা পুরোপুরি ধাক্কা খেয়েছি। আমি আফগানিস্তানের নারী, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকারের সমর্থকদের ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
টুইটে পাকিস্তানের এই মানবাধিকার কর্মী বলেছেন, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় শক্তিকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান এবং শরণার্থী ও বেসামরিকদের রক্ষা করতে হবে।
— Malala (@Malala) August 15, 2021
এদিকে, তালেবানের একজন মুখপাত্র নারীদের অধিকারের প্রতি যোদ্ধারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাত্র ১০ দিনের দ্রুতগতির আগ্রাসী অভিযানের মাধ্যমে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় নারীদের অধিকারের ব্যাপারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশটিতে ইসলামি শরীয়াহ আইন কার্যকর করে তালেবান। ওই সময় ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে পাথর নিক্ষেপ, চুরির জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা এবং মেয়েদের স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ জারি করে তালেবান।
তবে রোববার নারী অধিকারের ব্যাপারে যে বিবৃতি দিয়েছে তা বিশ্বজুড়ে এই ইস্যুতে তৈরি হওয়া উদ্বেগ সাময়িক নিবারণের চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে। তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নারীরা একাই বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার অব্যাহত থাকবে।
এসএস