হিমাচল প্রদেশে পাহাড়ধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ৩০
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় পাহাড়ধসে অন্তত ১১ জন নিহত ও আরও ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে কিন্নরের রেকং পিও-শিমলা মহাসড়কে পাহাড়ধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাহাড়ধসের কারণে ওই মহাসড়কে বেশ কয়েকটি গাড়ি মাটিচাপা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেছেন, রাজ্যের সরকারি একটি বাস, একটি ট্রাক এবং কয়েকটি ব্যক্তিগত যানবাহন মাটিচাপা পড়েছে। পাহাড়ধসে রেকং পিও-শিমলা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। শিমলাগামী বাসটিতে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
হিমাচলের স্থানীয় একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন মাটিচাপা অথবা যানবাহনের ভেতরে আটকা পড়েছেন। এছাড়া পাহাড়ধসের পর সেখানে তৎপরতা চালিয়ে ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বোল্ডার এবং পাথরের খণ্ড পাহাড় থেকে ধেয়ে আসছে পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মহাসড়কের দিকে। প্রচণ্ড গতিতে চারপাশে ধুলার ঝড় তোলা এসব পাথর, বোল্ডার এবং মাটির স্তুপ মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের ওপর আছড়ে পড়ছে।
ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) প্রায় ২০০ সদস্যকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য কিন্নরে মোতায়েন করা হয়েছে। আইটিবিপির মুখপাত্র বিবেক পান্ডে রয়টার্সকে বলেছেন, যদি কোনও সমস্যা না হয়, তাহলে রাতভর উদ্ধার অভিযান চলতে পারে বলে আমরা আশা করছি। তবে বর্তমানে ওই এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর বলেছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আমি পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা একটি বাস এবং একটি ব্যক্তিগত গাড়ি চাপা পড়ার তথ্য পেয়েছি। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
এদিকে, পাহাড়ধসে হতাহতের এই ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রামের কাছে টেলিফোনে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
এসএস