পাকিস্তানের যেসব নাগরিক এখন পর্যন্ত করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজও নেননি, তাদের জন্য এবার রেল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দৈনিক ডন।

মঙ্গলবার ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক সর্বোচ্চ সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) সোমবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী এবং এনসিওসির প্রধান আসাদ ওমরের সভাপতিত্বে সোমবার বৈঠক করে সংস্থাটি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যে সব নাগরিক এখন পর্যন্ত করোনা টিকার একটি ডোজও নেননি, তারা আগামী ১ অক্টোবর থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন না।

এর আগে গত ২৫ জুলাই টিকার ডোজ না নেওয়া যাত্রীদের জন্য অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল এনসিওসি। সেই পথ ধরে এবার রেল ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আসছে।

পাকিস্তানের সরকারি তথ্য ও আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬২০ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ২৩ হাজার ৯১৮ জন।

এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে পাকিস্তানে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, শতকরা হিসেবে যা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের হার।

সম্প্রতি দেশটিতে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়ছে পাঞ্জাব প্রদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর রাওয়ালপিন্ডি ও খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারে।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে পাকিস্তান। এনসিওসির বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, ২২ কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানে ইতোমধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ; আর দেশটিতে টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করা মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৭০ লাখ।

সূত্র : ডন

এসএমডব্লিউ