প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করলেন নরেন্দ্র মোদি। সমুদ্র-সুরক্ষার গুরুত্ব এবং এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছিল সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়।

মোদির সভাপতিত্বে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তাসহ বিশ্বনেতারা।

বৈঠকে সভাপতির ভাষণে মোদি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের পথে বাধা দূর করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। সমুদ্রপথে বাণিজ্যের সাফল্যের ওপর আগামী দিনে বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নির্ভর করবে।’

আন্তর্জাতিক আইন এবং আলোচনার ভিত্তিতে সমুদ্রপথ সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তির কথাও বলেন তিনি। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক তৎপরতা লক্ষ্য করে মোদি এই মন্তব্য করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক জলপথ পরিবহনকে নয়াদিল্লি বরাবরই প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়েছে বলেও দাবি করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘আলোচনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমেই ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি করেছে।’

গত মে মাসে জতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সে সময় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বেইজিংয়ের ভূমিকার প্রতিবাদে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর সরব হয়েছিলেন।

জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ— আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। বাকি ১০দেশ নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। আনন্দবাজার।

এসএস