গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে বিধ্বস্ত বিমান
গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিসের একটি পেজেটেল উড়োজাহাজ। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
রোববার গ্রিসের পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ এভিয়ার উত্তরাংশের বিস্তৃত পাইন বনে দাবানল দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, জোর বাতাসের প্রভাবে তা ছড়িয়ে পড়ে ক্রমশ লোকালয়ের দিকে এগিয়ে আসছে।
বিজ্ঞাপন
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অগ্নিনির্বাপক গ্যাস বোঝাই সেই উড়োজাহাজটি পাঠানো হয়েছিল। আগুন নেভাতে গিয়েই বিধ্বস্ত হয় সেটি।
তবে উড়োজাহাজের পাইলট ও সহপাইলট অক্ষত আছেন এবং দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য কর্মীরা তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
গ্রিসের বেসামরিক সুরক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী নিকোস হার্দালিয়াস এএফপিকে বলেন, জোর বাতাসের কারণে দাবানল বনাঞ্চল থেকে সমুদ্রতীরবর্তী গ্রামসমূহের দিকে এগিয়ে আসছে। তবে গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হার্দালিয়াস বলেন, ‘এভিয়ার উত্তর ও দক্ষিণে দু’টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। কর্মীরা বিরামহীন ভাবে কাজ করছেন। দ্বীপটির বাসিন্দাদের প্রাণহানির শঙ্কা আপাতত নেই।’
‘কিন্তু দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এবং কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা কেউ জানে না।’
স্মরণকালের ভয়াবহতম তাপদাহে বিপর্যস্ত ভূমধ্যসাগরীয় দেশ গ্রিস ও তুরস্কে সম্প্রতি দাবানল দেখা দিয়েছে। প্রকৃতিক এই দুর্যোগের প্রভাবে এ দু’দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে গত দু’সপ্তাহ ধরে।
ইতোমধ্যে গ্রিসে ২ জন এবং তুরস্কে ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং গত ১৪ দিনে এ দু’টি দেশের অন্তত শ’খানেক মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে তুরস্কে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কিন্তু গ্রিস এখনও পুড়ছে তাপদাহ ও দাবানলে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুতগতিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও তার প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যাচ্ছে, গ্রিস ও তুরস্কের সাম্প্রতিক তাপদাহ-দাবানল তারই অংশ।
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ