সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবান দু’দিনের মধ্যে মোট চারটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নেওয়ার পর দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

কাবুলে মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের অবিলম্বে আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছে। কেননা নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও কর্মী কমায় এখানে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে দূতাবাসের সক্ষমতা সীমিত হয়ে এসেছে।’

দূতাবাস এই নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে যত দ্রুত সম্ভব মার্কিন নাগরিকদের বাণিজ্যিক বিমানে আফগানিস্তান ছাড়ার তাগিদ দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে যারা বিমানের টিকেট কিনতে পারবের না, তাদেরকে প্রত্যাবাসন ঋণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে দূতাবাস।

কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারির আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি হামলায় আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। আমরা সেখানকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’   

আফগানিস্তানে ক্রমেই নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মার্কিন সেনাসহ সকল বিদেশি সেনা দেশটি থেকে বিদায় নিতেই একের পর শহর দখল করছে তালেবান যোদ্ধারা। শনিবার আরও দুটিসহ গত দুই দিনে তালেবান চারটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে।

দেশটির প্রধান শহরগুলোর ভাগ্য নিয়ে ভীষণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। উভয়পক্ষ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সরকারি সেনারা কতদিন নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবে সেটাই বড় প্রশ্ন। স্থানীয়রাও বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন।

বিবিসি বলছে, তালেবান মিলিশিয়ারা ইতোমধ্যে অর্ধেক আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে ‌‘বর্ডার ক্রসিং’ রয়েছে। তবে তালেবান অবশ্য দেশের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করছে। 

এএস