ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ আজ শুক্রবার লেবানন-সিরিয়া সীমান্ত ও গোলান মালভূমিতে ইসরায়েল দখলকৃত বিতর্কিত শেবা ফার্মস জেলার খোলা জায়গায় ‘কয়েক ডজন’ রকেট নিক্ষেপ করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ইসরায়েলে সরাসরি হামলার দায় স্বীকার করলো হিজবুল্লাহ। বিগত এক সপ্তাহ ধরে ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতিতে ইসরায়েল ও লেবাননে পাল্টা পাল্টি হামলায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গেছে।  

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলার জবাব দিতে আজ শুক্রবার সকালে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে তারা। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, লেবানন থেকে অন্তত ১০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা হয়। এর জবাবে সাত বছর পর প্রথমবার লেবাননের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা ও কামানের গোলা ছোড়ে ইসরায়েল। অবশ্য বুধবারের ওই হামলার দায় হিজবুল্লাহ বা কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

হিজবুল্লাহ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে এই হামলা করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন (হিজবুল্লাহ) শেবা ফার্ম এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীদের অবস্থান লক্ষ্য করে কয়েক ডজন রকেট দিয়ে এই হামলা চালায়।’  

হিজবুল্লাহ হামলার দায় স্বীকারের পরই শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘লেবানন থেকে ইসরায়েল ছোড়া ১০টির বেশি রকেট হামলার পাল্টা জবাব দিতে আমরা এখন লেবাননের যেসব স্থান থেকে রকেট ছোড়া হয়, সেসব জায়গায় হামলা চালাচ্ছি।’

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ‘লেবাননকে তার ভূখণ্ডে উদ্ভূত সমস্ত ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ী বলে মনে করে এবং ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের ও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে আবারও এমন কিছু করার বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে।

শেবা ফার্মস নিজেদের বলে দাবি করে লেবানন ও হিজবুল্লাহ। কিন্তু ১৯৭৮ সাল থেকে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। জাতিসংঘ একে সিরিয়ার গোলান মালভূমির অংশ মনে করে, যা ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর দখল করে নেয় ইসরায়েল এবং ১৯৮১ সালে ইসরায়েল একতরফাভাবে একে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে সংযুক্ত করেছে।

এএস