ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ অংশ জুড়ে দাবানল জ্বলছে। তুরস্ক, গ্রিস, ইতালি, উত্তর মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া দাবানলের কবলে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস জানিয়েছে, জুলাই মাস ছিল ইউরোপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গরম মাস। তাপপ্রবাহ চলতি আগস্ট মাসেও চলবে। সেই সঙ্গে দাবানলের কবলে পড়বে দেশগুলো।

তুরস্ক ও গ্রিসে ইতোমধ্যেই দাবানল ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ইতালির সিসিলিতেও দাবানল ছড়িয়েছে। দেশটির তিনটি অঞ্চল দাবানলের কবলে পড়েছে।

অন্যদিকে এক সপ্তাহ ধরে গ্রিসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। ১৯৮৭ সালের পর থেকে সেখানে এত গরম কখনও পড়েনি। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্তত আগামী রোববার পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলবে।

এছাড়া বুধবার থেকে গ্রিসে একশোটির বেশি দাবানল জ্বলছে। এথেন্সের শহরতলিতে দাবানল পৌঁছে গেছে। অলিম্পিয়ার মনুমেন্টের কাছে আগুনের খবর পাওয়া গেলেও আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, অলিম্পিয়াকে দাবানলের হাত থেকে আপাতত বাঁচানো গেছে। তবে বিপদ পুরোপুরি কাটেনি।

গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী কাজ করবে।

এদিকে দাবানলের কবলে পড়েছিল তুরস্কের একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ইউনিটের কোনো ক্ষতি হয়নি।  কিন্তু অন্য জায়গায় দাবানলের আগুনকে এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। প্রচণ্ড গরম, খুব কম আদ্রতা, প্রবল হাওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

অন্যদিকে ইতালিতে দাবানল শুরু হয়েছিল মূলত সিসিলিতে। তারপর তা ছড়িয়েছে আরও তিনটি অঞ্চলে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও আগুন আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না। ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে ইতালির দাবানল পরিস্থিতির।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

টিএম