লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর রকেট হামলার জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লেবাননের যে এলাকা ও অবকাঠামোসমূহ থেকে সম্প্রতি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছিল, সে সব স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।’

এছাড়া আগে রকেট হামলা চালানো হতো- দক্ষিণ লেবাননের এমন একটি লক্ষ্যেও আঘাত হানা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

লেবাননে হেজবুল্লাহর মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানল আল মানার জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে লেবাননের মাহমুদিয়া শহরের প্রান্তীয় দুই এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো হামলা চালিয়েছে।

বুধবার লেবানন থেকে ছোড়া দু’টি রকেট ইসরায়েলে গিয়ে পড়ার পর গোলাবর্ষণ করে তার জবাব দিয়েছিল ইসরায়েল, এবার বিমান হামলাও চালালো তারা।

বুধবার লেবাননের সীমান্ত এলাকার কাছে ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনো শহর সংলগ্ন এলাকায় রকেট হামলা ঘটে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়ে এবং অন্য দু’টি ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হেনেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের হামলার দায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল সেসব এলাকা ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহ গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে ওই রকেট হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

লেবাননের হেজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে ২০০৬ সালে ইসরায়েলের এক যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সীমান্ত মোটামুটি শান্ত ছিল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হেজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর হাতে অত্যাধুনিক রকেট আছে।

কিন্তু অতীতে বিভিন্ন সময়ে লেবাননের হেজবুল্লাহর ফিলিস্তিনপন্থী একটি অংশ বিক্ষিপ্তভাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। গত ২০ জুলাইও ইসরায়েলে দু’টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল হেজবুল্লাহ। তবে ওই হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়নি।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ