আমিরাত উপকূল থেকে জাহাজ ছিনতাই, নেওয়া হচ্ছে ইরানে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উপকূল থেকে একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির উপকূলবর্তী ওমান উপসাগর থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা পানামার পতাকাবাহী এই জাহাজটি ছিনতাই করে। পরে সেটিকে ইরানে নোঙর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লয়েডস লিস্ট মেরিটাইম ইন্টেলিজেন্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বুধবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ছিনতাইয়ের শিকার ওই জাহাজটির নাম এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস। ছিনতাইয়ের পর জাহাজটিকে হরমুজ প্রণালীর সংকীর্ণ অংশের দিকে নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
জাহাজটি কারা ছিনতাই করেছে তা পরিষ্কার না হলেও বিশ্লেষকরা এই ঘটনার জন্য ইরানি বাহিনীকেই সন্দেহ করছেন। তবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এ ধরনের অভিযোগ তেহরানের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের’ একটি অংশ।
বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস জাহাজটির মালিক দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানি। দুই বছর আগে একই কোম্পানির আরও একটি জাহাজ ছিনতাই করেছিল ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
বিভিন্ন রিপোর্টের বরাত দিয়ে তিনি বলছেন, হরমুজ প্রণালীর প্রবেশমুখের কাছাকাছি অংশে থাকার সময় এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস জাহাজটি দখলে নেয় ৯ জন সশস্ত্র ব্যক্তি।
এর আগে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ এলাকায় জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছিল ব্রিটিশ সংস্থা ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও)।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফরের একজন মুখপাত্র জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উপকূল থেকে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনার জরুরি তদন্ত শুরু করেছেন তারা। অন্যদিকে হোয়াইট হাউস জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনাকে ‘খুবই বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আরব সাগরের ওমান উপকূলে ইসরায়েলের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলায় ২ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহত দু’জনই ওই ট্যাংকারের নাবিক। তাদের একজন ব্রিটিশ ও অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক।
প্রাণঘাতী এই হামলার সরাসরি ইরানকে দায়ী করে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এছাড়া এ ঘটনায় দেশটিকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় দেশ দু’টি।
টিএম