ইসরায়েলের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলায় ইরানকে দায়ী করেছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার আরব সাগরের ওমান উপকূলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ২ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহত দু’জনই ওই ট্যাংকারের নাবিক। তাদের একজন ব্রিটিশ ও অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক।

এদিকে ইসরায়েলি তেলবাহী ওই ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছে দেশ দু’টি।

রোববার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ওই জাহাজটিতে হামলায় ইরান এক বা একাধিক ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে বিশ্বাস করে লন্ডন। এটা আন্তর্জাতিক আইনের ইচ্ছাকৃত ও স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, ‘ইরানকে এ ধরনের হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এছাড়া জাহাজগুলোকে মুক্তভাবে চলাচল করতে দিতে হবে।’

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলি তেলবাহী ওই ট্যাংকারে ইরানই হামলা করেছে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। আর ভবিষ্যতে এই ঘটনার ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হবে।

এর আগে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলায় ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এরপরই এ বিষয়ে মন্তব্য করল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর আশা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে এটা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেবে যে, দেশটি একটি মারাত্মক ভুল করেছে।

এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ওই জাহাজটি লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জোডিয়াক মেরিটাইম পরিচালনা করে থাকে। বৃহস্পতিবার যখন ওই জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে, তখন সেটি ওমান উপকূলের কাছাকাছি আরব সাগরে অবস্থান করছিল। এই কোম্পানির মালিক ইসরায়েলি ধনকুবের ইয়াল ওফের।

টিএম