ট্যাংকারে হামলা নিয়ে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা
ওমান উপকূলে ইসরায়েলি কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় চলা ট্যাংকারে হামলা ও তাতে দুই ক্রু সদস্য নিহতের ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে ইরান। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ‘নিশ্চিতভাবেই’ এই হামলা ইরান করেছে দাবি করার পর শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
রোববার এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ওই ট্যাংকারটিতে হামলা হয়। একজন ব্রিটিশ ক্রু ও একজন রোমানিয়ান ক্রু নিহত হন। এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। এমন হামলা হলে ইসরায়েল সাধারণত ইরানকে দায়ী করে থাকে।
বিজ্ঞাপন
বিবিসির রোববারের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘আমরা জানি কীভাবে ইরানকে উত্তর দিতে হয়।’ ইরান বলছে, ‘নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় তেহরান দ্বিধা করবে না।’
বেনেটের দাবি, ‘ইরান যে এই হামলা চালিয়েছে এমন গোয়েন্দা প্রমাণ আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি বলেছেন, ‘ইরান ‘মারাত্মক ভুল করেছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা জানি কীভাবে নিজেদের মতো করে ইরানকে জবাব দিতে হয়।’
এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়ীদ খতিবজাদেহ বলেন, ‘ওই ইহুদীবাদী সরকার (ইসরায়েল) নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতা তৈরি করছে। ইরানের জড়িত থাকার অভিযোগের নিন্দা জানাচ্ছে তেহরান।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খতিবজাদেহ বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা থেকে মনোযোগ সরাতে ইসরায়েল এসব অভিযোগ করছে, যা ভিত্তিহীন।’ এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ ঘটনাটি ‘কঠোর প্রতিক্রিয়াযোগ্য ছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন।
ট্যাংকারটির পরিচালনা কোম্পানি ইসরায়েলের সেই জোডিয়াক ম্যারিটাইমের সন্দেহ, ঘটনাটি ‘জলদস্যুতা’ হতে পারে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামলাটি ড্রোন দিয়ে চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল ও ইরান পরিচালিত জাহাজে কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত মার্চ থেকে হওয়া এসব হামলাকে ‘ইটের বদলে পাটকেল’ অর্থাৎ জাহাজে এক পক্ষের হামলার প্রতিশোধে পাল্টা হামলা হিসেবে দেখছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিরক্ষা প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, ‘অঘোষিত ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এক পক্ষ অপরপক্ষকে অভিযুক্ত করছে, আবার একে অপরের অভিযোগ অস্বীকার করছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবারে উত্তেজনা বাড়িয়েছে প্রাণহানির বিষয়টি।’
এএস