তুরস্কে দাবানল শুরু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে তিন জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক হাসপাতালে ভর্তি। গরম আবহাওয়া-দমকা হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রবল হাওয়া থাকায় দাবানলের মোকাবিলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় মানাওগাতের কাছে শুক্রবার তৃতীয়দিনের মতো আগুন জ্বলছে। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে দাবানল। অগ্নিনির্বাপনকর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।  

তুরস্কের কৃষিমন্ত্রী সরকারি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, দেশের ১৩টি অঞ্চলে মোট ৪১টি স্থানে দাবানল লেগেছিল। বুধ ও বৃহস্পতিবার এই আগুন লাগে। তার দাবি, অধিকাংশ জায়গায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু দুইটি শহরের কাছে এখনো দাবানল জ্বলছে।

হাজারো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। উদ্ধার অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের সম্পদেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বাড়িঘর সব পুড়ছে। মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা হেলিকপ্টারে আগুন নেভানোর কাজ করছে।

টুইটারে কৃষিমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের ধারের শহর মামারিসে দাবানল নেভানোর চেষ্টা করছেন কর্মীরা। সেখানে বেশ কিছু হোটেল থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, শহরের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, দাবানলের ফলে তিন জন মারা গেছেন। অন্তত ১১২ জন অসুস্থ। এর মধ্যে ৫৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। দাবানলের ধোঁয়ার জন্য তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

বনমন্ত্রী আরও কয়েকটি শহরে দাবানলের কথা বলেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, কোনো শহরেই বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। সেখানে কেউ মারা যাননি। কিন্তু তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি হাওয়ার গতি পরিবর্তন হয়, তাহলে আমাদের বাড়তি সতর্ক হতে হবে।’

তুরস্কে গরমের সময় দাবানল বিরল ঘটনা নয়। কিন্তু আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এবার বিভিন্ন দেশেই দাবানল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে।

এএস