করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল মানুষকে কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় ডোজ দিচ্ছে ইসরায়েল। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিলো দেশটি। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এই ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নাফতালি বেনেট জানিয়েছেন, কমপক্ষে পাঁচ মাস আগে যারা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তারা আগামী রোববার (১ আগস্ট) থেকে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা নিতে পারবেন।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ আগামী সেপ্টেম্বরে ৬১ বছরে পা দেবেন। অর্থাৎ ৬০ বছরের বেশি হওয়ায় শুক্রবারই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ফাইজারের তৃতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে ইসরায়েলে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া টিকাদান কর্মসূচি অনেকটা এগিয়ে নিয়েও বিশ্বের অনেক দেশেই ভাইরাসের অতিসংক্রামক এই ধরনে আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগের।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, ‘গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- (টিকা নেওয়ার পরও) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আর তাই করোনা টিকার দু’টি ডোজ সম্পন্ন করা ব্যক্তিদের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফের বাড়ানো এবং একইসঙ্গে ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমণের শঙ্কা ও মারাত্মক অসুস্থতার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা।’

তিনি আরও বলেন, টিকা নেওয়ার পরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে এমন ২ হাজার মানুষ ইতোমধ্যেই টিকার তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে খারাপ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।

বিবিসি বলছে, ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশ এখনও পর্যন্ত টিকার তৃতীয় ডোজ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন করেনি। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হলে ভাইরাসের সংক্রমণ যে কমে যাবে, এমন কোনো তথ্য পরিষ্কারভাবে পাওয়া যায়নি।

এর আগে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত মাসে ফের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা জারি করেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

টিএম