করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো মডার্নার ৩০ লাখ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে পাকিস্তান। সোমবার (২৬ জুলাই) দেশটি এই টিকা হাতে পায় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন শেয়ারিং প্রকল্প কোভ্যাক্স’র আওতায় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিকে গত শুক্রবার এসব টিকা পাঠায় ওয়াশিংটন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইউনিসেফ জানায়, জাতিসংঘ সমর্থিত কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো ৩০ লাখ ডোজ মডার্না টিকা সোমবার হাতে পেয়েছে পাকিস্তান।

এর ফলে কোভাক্স কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তানে টিকা সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়ালো ৮০ লাখে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে বিশ্ব ভ্যাকসিন উদ্যোগের মাধ্যমে আড়াই লাখ ডোজ মডার্না ভ্যাকসিন পেয়েছিল ইসলামাবাদ।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় পাকিস্তানের টিকাদান কর্মসূচি মূলত এতোদিন চীনের তৈরি টিকার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পশ্চিমা করোনা টিকার ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পাকিস্তানকে সহায়তা করবে।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিদেশে কাজ করতে যেতে হলে পাকিস্তানের প্রবাসী শ্রমিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপের কোনো দেশের তৈরি করোনা টিকা নিতে হবে। কারণ বিশ্বের অনেক দেশই এখনও চীনের টিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো মডার্নার টিকার মাধ্যমে দেশটির প্রবাসী শ্রমিকরা নিঃসন্দেহে উপকৃত হবেন।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় পাকিস্তানে ইতোমধ্যেই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কোভিড সহায়তা পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। যদিও প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে করোনা মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অবশ্য ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ডেল্টা ধরনের কারণে দেশটিতে সম্প্রতি ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে।

মডার্নার টিকা ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সীদের দেওয়া যায়। প্রত্যেককে এই টিকার দুই ডোজ করে দিতে হয়। টিকাটির প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মডার্নার টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।

টিএম