হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়কার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন স্টিফেন হারমন

করোনা টিকাকে ব্যঙ্গ করা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। মৃত ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি করোনার টিকা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাসখানেকের প্রাণপণ লড়াই শেষে গত বুধবার মারা যান তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম স্টিফেন হারমন। তিনি হিলসং মেগাচার্চের সদস্য এবং কোভিড-১৯ টিকার কট্টর বিরোধী। করোনা টিকা গ্রহণে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ব্যঙ্গ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ৩৪ বছর বয়সী স্টিফেন হারমনের ৭ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। গত জুন মাসে এক টুইটে তিনি বলেন, ‘(আমার) ৯৯টি সমস্যা রয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে টিকা নেওয়া সংক্রান্ত একটিও (সমস্যা) নেই।’

বিবিসি বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর লস অ্যাঞ্জেলসের বাইরের একটি হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও কোভিডের নিচ্ছিলেন স্টিফেন হারমন। তবে গত বুধবার তিনি সেখানে মারা যান।

মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ও জীবিত থাকতে নিজের লড়াইয়ের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থার ছবিও পোস্ট করেন স্টিফেন।

এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘দয়া করে আপনারা সবাই দোয়া করুন। তারা (চিকিৎসক) আমাকে টিউবের মধ্যে ভরে ভেন্টিলেটরে রাখতে চায়।’

বুধবার টুইটারে দেওয়া সর্বশেষ টুইটে তিনি ইনটিউবেশনের মধ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। তিনি সেখানে লেখেন, ‘কখন জেগে উঠবো জানি না। সবাই প্রার্থনা করুন।’

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের জীবন হুমকির মুখে থাকলেও টিকা নিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন স্টিফেন হারমন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, তার ধর্মীয় বিশ্বাসই তাকে রক্ষা করবে।

এমনকি মৃত্যুর আগেও করোনা মহামারি ও কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যঙ্গ করেন হারমন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা মিমিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসির চেয়েও বাইবেলকে বেশি বিশ্বাস করেন তিনি।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭১১ জন মারা গেছেন।

টিএম