ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ১৪৬ ফিলিস্তিনি আহত
অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ১৪৬ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ জুলাই) ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরের বেইতা শহরের একটি সীমান্ত গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা সেখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অবৈধ তল্লাশি চৌকি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে একথা জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, শুক্রবারের সহিংসতায় তাদের দুইজন সেনাসদস্য ‘কিছুটা আহত’ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় এক সাংবাদিক বার্তাসংস্থা এএফপি’কে জানান, শুক্রবার শত শত ফিলিস্তিনি ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিমতীরের উত্তরে অবস্থিত বেইতা শহরে সীমান্ত ঘেষা গ্রামে জড়ো হন। সেখানে তারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অবৈধ তল্লাশি চৌকি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন।
আলজাজিরা বলছে, ফিলিস্তিনের জমিতে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন ও তা বিস্তৃতির বিরুদ্ধে ওই এলাকায় নিয়মিত বিক্ষোভ করে থাকেন ফিলিস্তিনিরা।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, নাবলুস শহরের দক্ষিণে গিভাত এভিয়াটার তল্লাশি চৌকি এলাকায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ‘দাঙ্গা পরিস্থিতি ও উত্তেজনা বিরাজমান’ ছিল। এসময় শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিক ইসরায়েলি সেনাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। এর জবাবে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, সহিংসতায় দু’জন ইসরায়েলি সেনা ‘হালকা আহত’ হন এবং পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৪৬ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তাজা বুলেটের আঘাতে ৯ জন, রাবারে মোড়ানো বুলেটের আঘাতে ৩৪ জন এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে ৮৭ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে অধিকৃত ওই ভূখণ্ডে একের পর এক অবৈধ বসতি স্থাপন করে আসছে দেশটি। অবৈধভাবে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে অধিকৃত পশ্চিমতীরে বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ইহুদী বসবাস করছে।
টিএম