ইকুয়েডরে দু’টি পৃথক কারাগারে দাঙ্গায় কমপক্ষে ২২ জন কারাবন্দী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। চলতি বছর দেশটির কারাগারে হওয়া সহিংসতার মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ইকুয়েডরের সরকার জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াইয়াস ও কটোপ্যাক্সি প্রদেশের দু’টি কারাগারে এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। প্রদেশ দু’টি রাজধানী কুইটোর দক্ষিণে অবস্থিত।

লাতাকুনগা শহরে দেওয়া এক বক্তৃতায় ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো বলেন, ‘আমি অপরাধীদের এটা বলতে চাই যে, তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে আগের সরকারের মতো এই সরকারও দুর্বলভাবে জবাব দেবে; এটা মনে করে থাকলে তারা ভুল করবে।’

গত মে মাসে লাসসো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। সর্বশেষ দাঙ্গার ঘটনার পর তিনি দেশের সকল কারাগারে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

সর্বশেষ দাঙ্গায় ২২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে কযেকজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। এক বিবৃতিতে এসএনএআই কারাগার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারাগারে দাঙ্গা সৃষ্টির পর বুধবারই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দেশটির এলিট ফোর্সের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার জানানো হয়, দাঙ্গায় কটোপ্যাক্সি কারাগারে কমপক্ষে ১৩ জন কারাবন্দী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩৫ জন বন্দী ও ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া দাঙ্গার সময় ৩১ জন বন্দীর পলায়নের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

অন্যদিকে গুয়াইয়াস কারাগারে দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে আটজন। এছাড়া সেখানে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রা ভেলা জানিয়েছেন, দাঙ্গার পর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৭৮ বন্দীকে ফের আটক করা হয়েছে।

টিএম