ইউরোপের যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌযানডুবিতে কমপক্ষে ১৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির কোস্টগার্ড সাগর থেকে ৩৮০ জনের বেশি আরোহীকে উদ্ধার করেছে। তারা সবাই ডুবে যাওয়া সেই নৌযানের যাত্রী বলে উল্লেখ করেছে রেড ক্রিসেন্ট।

তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম রয়টার্সকে জানান, প্রায় চারশ অভিবাসী নিয়ে নৌযানটি লিবিয়ার উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। এই অভিবাসীদের সবাই বাংলাদেশ, সিরিয়া, মিশর, সুদান, ইরিত্রিয়া ও মালির নাগরিক। যাত্রা পথে তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে সেই নৌযানটি ডুবে যায়। এতেই মৃত্যু ঘটে এই বাংলাদেশীদের।

মঙ্গি স্লিম বলেন, ‘লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দর থেকে নৌযানটি ইউরোপের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। পথ মধ্যে তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে সেটি ডুবে যায়।’

‘নৌযানটিতে থাকা অভিবাসীদের মধ্যে ১৭ জন সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। বাকি ৩৮০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড।’

দেশটির কোস্টগার্ডের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নৌযানটি লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাচ্ছিল। তবে কী কারণে এটি ডুবে গেল সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।

সাম্প্রতিক মাসসমূহে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালি ও  ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নৌকাডুবি এবং হতাহতের ঘটনাও।

গত কয়েক বছর ধরে ইতালিতে ইউরোপের অভিবাসীদের আগমনে নিম্নমূখি প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তা আবার ঊর্ধ্বমূখি হচ্ছে।

গত প্রায় দুই বছর ধরে লাখ লাখ অভিবাসী নিজেদের জীবন বাজি রেখে ভূমধ্যসাগরের বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ির উদ্যোগ নিয়েছেন, যাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের সলিল সমাধি ঘটেছে সেই সাগরে। এই অভিবাসীদের সবাই এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহের নাগরিক।

এমএইচএস/ এসএমডব্লিউ