বিষাক্ত মদপানে ভারতে ১৬ জনের মৃত্যু
বিষাক্ত মদপান করে ভারতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত তিন দিনে দেশটির বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও মৃতদের মধ্যে আট জনের পরিবারের দাবি, মারা যাওয়ার আগে মদই খাননি তাদের স্বজনরা।
বিহারের পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যটির পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছেন আটজন। মৃতরা মূলত দেউরাওয়া, জোগিয়া ও বাগাহি নামের তিনটি গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
চম্পারণ রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি লালমোহন প্রসাদ বলেন, আমরা ৪০ জনের জবানবন্দী নিয়েছি। তাদের মধ্যে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। শুরুর দিকে সবাই মদ্যপান করার কথা অস্বীকার করে। অবশ্য তারপর এক দু’জন মদ খাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। দেউরাওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের বেশ কয়েকজনও মদ খাওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি মদ পান করার কথা স্বীকার করেছেন।
চম্পারণের জেলা প্রশাসক কুন্দন কুমার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি গত তিন দিনে প্রায় ১৬ জন রহস্যজনক ভাবে মারা গেছেন। যদিও তাদের পরিবার ও গ্রামবাসীরা মদ খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যদিও মৃতদের শেষকৃত্য হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাচ্ছে না। আমরা মেডিকেল টিম গঠন করেছি। আর কারও শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদ বিক্রি বন্ধ। তারপরেও এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় দু’জন গ্রাম চৌকিদারকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। এই ঘটনায় সরব হয়েছে রাজ্যটির বিরোধী দল আরজেডি। নীতিশ কুমার সরকারের সমালোচনা করেছেন আরজেডি প্রধান তথা বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘নেশামুক্তি’র নামে মদের অবৈধ ব্যবসা করার অভিযোগ তুলেছেন লালু প্রসাদ। বিহারে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার বেআইনি মদের সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন লালু।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
টিএম